চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে থমকে গেল বিরাট যাত্রা। এই মুহূর্তে গ্রুপ টেবিলে একেবারে তলার দিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারের পরে যা অবস্থা দাঁড়াল, তাতে দেখা যাচ্ছে পরের সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টিতেই জিততে হবে আরসিবিকে। আর কোহালিদের হারিয়ে ফের রীতিমতো চনমনে কার্তিকরা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক নাইটদের জয়ের পাঁচ কারণ। ছবি : এএফপি।
জ্বরের জন্য ম্যাচে খেলতে পারেননি এবি ডিভিলিয়ার্স। এবি-র অনুপস্থিতি ম্যাচ শুরুর আগেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল বিরাটদের।
আরসিবির ব্যাটিং বিপর্যয়। অধিনায়ক বিরাট কোহালি ছাড়া কিছুটা বলার মতো রান করেছিলেন শুধুমাত্র দুই ওপেনার ডি’কক, ম্যাকালাম। তবে তাঁদেরও স্ট্রাইক রেট ছিল বেশ কম। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় রানের গতি বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়ে যায়।
আরসিবির বোলাররা চাপ রাখতে পারলেন না বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ওপর। ওপেন করতে নেমে সুনীল নারাইন (১৯ বলে ২৭) মারতে থাকলেন। লিনও রান পেলেন। আরসিবির বোলারদের ব্যর্থতা কেকেআরের কাজটা সহজ করে দেয়।
আরসিবিকে ডুবিয়ে দিল তাদের ফিল্ডিং। লিন যখন সাত রানে, তাঁর সহজ ক্যাচ ছাড়েন মুরুগান অশ্বিন। পরে অশ্বিন দু’টো উইকেট পেলেও ওই ক্যাচ ফেলার মাশুল দিতে হল। লিন চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যত ম্যাচ খেলছেন, তত সাবলীল দেখাচ্ছে। রবিবারও যেমন দেখা গেল।
কেকেআর একদম ফর্মুলা অনুযায়ী খেলল। জোড়া স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করে। পীযূষ চাওলা এবং নারাইন। চাওলার শুরুটা ভালই হয়েছিল। পরে আরসিবি-কে বড় ধাক্কা দিয়ে গেলেন রাসেল। একেবারে জোড়া উপহার। প্রথম ওভার বল করতে এসেই তুলে নিলেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং মনন ভোরাকে। পরে দ্বিতীয় স্পেলে এসে মনদীপ সিংহকে।