সপ্তমবার আইপিএল ফাইনালে উঠে উচ্ছ্বাস চেন্নাই দলের। ছবি: আইপিএল
একাদশ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস। এই নিয়ে সপ্তমবার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব অর্জন করল ধোনি ব্রিগেড।
ফাফ ডু প্লেসির ধৈর্য্য এবং দুর্দান্ত ব্যাটিং আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে দিল চেন্নাইকে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২ উইকেটে হারাল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ওপেন করতে নেমে ৪২ বলে অপরাজিত ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ডু প্লেসি। উল্টো দিকে তখন একে একে ফিরে যাচ্ছেন সব ব্যাটসম্যানই।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএল কোয়ালিফায়ার-এর প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই। ডোয়েন ব্রাভো, লুঙ্গি এনগিডি, রবীন্দ্র জাডেজাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৯ রানেই হায়দরাবাদকে থামিয়ে দিয়েছিল চেন্নাই। কার্লোস ব্রেথওয়েট(৪৩) ছাড়া সানরাইজার্সের কোনও ব্যাটসম্যানই চেন্নাই বোলিংয়ের সামনে লড়াই দিতে পারেননি।
১৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই শেন ওয়াটসন-এর উইকেট হারিয়ে ফেলে চেন্নাই। এর পর সুরেশ রায়নাও ভাল শুরু করেও সিদ্ধার্থ কল-এর বলে বোল্ড হয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন। সিদ্ধার্থের পরেই বলেই বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন গোটা টুর্নামেন্টে ফর্মে থাকা অম্বাতি রায়াডু। একটা সময় মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের পক্ষে এই ম্যাচে ফেরা কার্যত অসম্ভব। ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছে সুপার কিংসরা। ধোনি, ব্রাভো, জাডেজা সকলেই ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। কিন্তু সব আশঙ্কায় জল ঢেলে শেষে বাজিমাত করলেন সেই একা কুম্ভ ডু প্লেসিই। ৫ বলে ১৫ রানের একটা মহামূল্যবান ইনিংস খেললেন শার্দুল ঠাকুরও। শেষ ওভারে যখন দলের প্রয়োজন ৬ রান, টেলএণ্ডারদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে খেলা শেষ করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে রাহানের রাজস্থানের জন্য বাউন্স থাকছে ইডেনের পিচে
আরও পড়ুন: অধিকারের সীমা কখনও ছাড়ায়নি বিরাট, বলছেন রাই
সপ্তমবার আইপিএল ফাইনালে উঠে অনেকটা আবেগাপ্লুত মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও। ম্যাচের শেষে ধরা পড়ল সেই চিত্রও। ২৭শে মে রবিবার ওয়াংখেড়েতেই ফাইনাল। অন্যদিকে হায়দরাবাদকে খেলতে হবে কলকাতায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ।