ফাইল চিত্র।
টোকিয়ো অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার ন’সপ্তাহ আগে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। অবস্থা এমনই যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটিও (আইওসি) আসরে নামতে বাধ্য হল। করোনা অতিমারির জন্য এখন এমনিতেই জাপানের চিকিৎসা ব্যবস্থা মারাত্মক চাপে। তবু শুক্রবার আইওসি-র তরফে আশ্বস্ত করা হয়, অলিম্পিক্স আয়োজন করা হলে তাতে নতুন কোনও চাপ তৈরি হবে না।
অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি এবং করোনা ভাইরাস থেকে সতর্কতা মূলক আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই নিয়ে তিন দিনের বৈঠকের আয়োজন করেছিল আইওসি। বৈঠকের পরে জানানো হয়েছে, অলিম্পিক্স ভিলেজে যাঁরা থাকবেন তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশকে ২৩ জুলাইয়ের আগে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সেরে ফেলা হবে।
করোনার জন্য এক বছর পিছিয়ে দেওয়া টোকিয়ো অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে জাপানের সাধারণ মানুষ চাপ বাড়াচ্ছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, জাপানের ৭০ শতাংশ মানুষই চান অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়া হোক বা বাতিল করা হোক। ‘‘এটা একেবারে পরিষ্কার যে অলিম্পিক্স আয়োজন সবার অর্থাৎ যাঁরা অংশ নিচ্ছেন এবং জাপানের সাধারণ মানুষের জন্য সুরক্ষিত হবে,’’ বৈঠকের পরে বলেছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জন কোটস। তিনি অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতির দায়িত্বে আছেন।
কোটস আরও জানিয়েছেন, অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়া বিদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অতিরিক্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন। যাতে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। জাপানে এখনও পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪.১ শতাংশ মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলির মধ্যে প্রতিষেধক দেওয়ার দিক থেকে জাপান অনেকটাই পিছিয়ে। ‘জি সেভেন’ দেশগুলির মধ্যে অনেকেই লকডাউন জারি করার ব্যবস্থা ধীরে ধীরে শিথিল করছে।