টোকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে যাচ্ছেন দেশের প্রথম জেলাশাসক সুহাস এল ইয়াথিরাজ। ফাইল চিত্র
তিনি সফল চিকিৎসক হতে পারতেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা কম্পিউটার সায়েন্সেও ছিলেন একই রকম দক্ষ। তবে সব ছেড়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় জেলাশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন সুহাস এল ইয়াথিরাজ। তিনি এ বার টোকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে যাচ্ছেন। প্যারা-ব্যাডমিন্টনের সিঙ্গলসে খেলবেন।
প্যারালিম্পিক্সে যেতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই অভিভূত বিশেষ ভাবে সক্ষম ইয়াথিরাজ। তিনি বলেন, ‘‘দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা কতটা গর্বের সেটা প্রতি মুহূর্তে টের পাই। জেলাশাসক হওয়ার সুবাদে রোজ দেশের উন্নতির কাজই তো করতে হয়, প্যারালিম্পিক্সে অংশ নিয়েও দেশের সেবা করব। তবে একটু অন্য ভাবে। করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য গত এক বছর বেশি কাজ করতে হয়েছে। তবুও প্রস্তুতির খামতি রাখিনি। তাই পদক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।”
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে সুহাস এল ইয়াথিরাজ। ফাইল চিত্র
জীবন তাঁকে দু’হাত উজাড় করে দিয়েছে। তাঁর কাছে অনেক কিছু করার সুযোগ এসেছিল। বললেন, “একাধিক পেশার সঙ্গে যুক্ত হতেই পারতাম। আমাকে বাদ দিয়ে বাড়িতে সবাই ডাক্তার। এমবিবিএস পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু ভাল লাগছিল না। পরে ভাবলাম কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করি। কিন্তু এক বছর যেতেই সিভিল সার্ভিস দেওয়ার ইচ্ছা জাগল। বাবা-মা কোনওদিন আপত্তি করেননি। ফলে পরিবার মানসিক ভাবে পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই পেশায় আসতে বেশি বেগ পেতে হয়নি।”
দিনের প্রতিটা মুহূর্ত ইয়াথিরাজের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেটা মনে করিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলছেন, “২৪ ঘণ্টাকে ঠিকঠাক ব্যবহার করলে মানুষ সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। সারা দিন অফিস করে ক্লান্ত হলেও আমি কিন্তু র্যাকেট হাতে কোর্টে নেমে যাই। ব্যাডমিন্টন অনুশীলন করলে অদ্ভুত একটা ঐশ্বরিক শান্তি পাই। পুরো শরীর যেন চনমনে হয়ে ওঠে। তাই তরুণদের জন্য বার্তা হল সময় অপচয় করো না।”