এমনিতে দারুন চনমনে রয়েছে মিতালি রাজ ও তার দল। কিন্তু ভারত-পাক ম্যাচ সবসময়ই প্রত্যাশার ম্যাচ। সেই কারণেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের উপরও রয়েছে ফিরোজশাহ কোটলায় শনিবার মিতালি রাজের ভারত থাকবে প্র্যত্যাশার চাপে।
ভারতীয় দলের অধিনায় মিতালি রাজ শুক্রবার বললেন ‘‘খেলোয়াড় হিসাবে আমার কাছে শনিবারের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচটাকে আমরা ‘অন্য একটি ম্যাচের’ মতই দেখছি। কিন্তু যেহেতু এই ম্যাচটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।তাই আমাদের উপর রয়েছে প্রচন্ড প্রত্যাশার চাপ। তাই আমাদের খেলোয়াড়রাও কিছুটা চাপে থাকবে।’’
মিতালি রাজ আরও বললেন ‘‘আমি একজন খেলোয়াড় হিসাবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময়ই একটা অন্য ম্যাচ হিসাবে দেখি। তবে যখন আমরা মাঠে খেলতে নামি তখন আমাদের চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার সময় আমাদের মাথায় অনেক কিছু আসে। তবে তাতে আমাদের মনোযোগে কোনও বিঘ্ন ঘটেনা।’’
পাশাপাশি মিতালি আরও বলেন ‘‘ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে ভারতীয় দলের মনোবল এখন তুঙ্গে। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও শনিবারের ম্যাচে আমার দল নজর কাড়া খেলা খেলবে বলেই আমার আশা। কারণ ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে এত হাইপ হয়েছে রাজধানীতে যে তাতে আমরাও এখন অনেকটাই চাপে পড়ে গেছি।’’
আর যেহেতু শনিবার ইডেনেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।তাই সবাই চাইবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল এবং আমাদের দলও নিজেদের ঘরের মাঠেই বিশ্বকাপ খেলছে। তাই এই ম্যাচটা আমাদের দুটো দলই জিতুক।’’
তবে মনে রাখবেন ‘‘২০১৪-য় বালাদেশের মাটিতে খেলার পর কাল দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছি। তবে এই ম্যাচটির গুরুত্ব বেশি হওয়ায় আমরা তিনটে ডিপার্টমেন্টেই যোগ্যতা দেখিয়ে ম্যাচটা বার করে নিতে চাই। তাই খেলার শেষ ওভার পযর্ন্ত কালকের ম্যাচে উত্তেজনা থাকবে বলে আমার মনে হচ্ছে। বাংলাদেশেও আমরা খেলার শেষ ওভারেই পাকিস্তানকে হারিয়েছিলাম। তাই আমরা চাই ভাল খেলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেশের নাম উজ্বল করার।’’
বেঙ্গালুরুর মতই শনিবার মিতালি রাজের সঙ্গে ওপেন করার কথা ভনিতা ভি আরের। তার পর বিরাট কোহলির মত হরমনপ্রীত নামবেন। তার পর হরমনপ্রীতের মতই হার্ড হিটার হিসাবে আসার কথা ভেদা কৃষ্ণমূর্তির। তার পর আছেন বাঁ হাতি একতা বিষ্ট ও স্মৃতি মনধানা। তারপর ঝুলনরাতো আছেনই।ঝুলনকে সঙ্গ দেবেন একতা বিষ্ট। দলের দুই স্পিনার পুনম যাদব ও অনুজা পটেল। আর দলের উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান সুষমা ভামার।
অন্যদিকে পাকিস্তানের অধিনায়ক সানা মীর বলেন ‘‘এই ম্যাচের(ভারত-পাক)গুরুত্বই আলাদা। তার উপর ফিরোজশাহ কোটলায় যদি দশর্কসংখ্যা বেশি হয় তাহলে দুই দলের উপরই চাপ থাকবে। তবে সেই চাপ নিতে আমার দল তৈরি।’’
পাশাপাশি সানা মীর আরও বলেন, “চেন্নাইয়ে তাঁর দলের ওপেনার জাভারিয়া খান থুথনিতে চোট পাওয়ায় তাঁকে এই ম্যাচে আমরা পাব না। তিনি জানান, পাকিস্তান পুরুষ দলের মতোই তাদের বোলিং ও ফিল্ডিং খুবই শক্তিশালী।
তবে যেহেতু পাকিস্তানের দল চেন্নাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে কাল ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে। তাই সানা মীরের শনিবারের ম্যাচটি হবে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
আরও পড়ুন...