Sports News

ভারতীয় ড্র্যাগ ফ্লিকারদের মন সোশ্যাল মিডিয়ায়: সন্দীপ

তিনি ছিলেন দেশের সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার। তিনি মাঠে থাকা পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল নিশ্চিত। এই মুহূর্তে ভারতের দুই সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার অবশ্যই ভিআর রঘুনাথ ও রূপিন্দর পাল সিংহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ২২:৫১
Share:

তিনি ছিলেন দেশের সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার। তিনি মাঠে থাকা পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল নিশ্চিত। এই মুহূর্তে ভারতের দুই সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকার অবশ্যই ভিআর রঘুনাথ ও রূপিন্দর পাল সিংহ। কিন্তু নানা বিতর্ক থেকে দেশের হয়ে সেরা পারফর্ম্যান্স তুলে আনা প্রাক্তন ড্র্যাগ ফ্লিকার সন্দীপ সিংহ এ বার একহাত নিলেন দেশের সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকারদের। অনেকদিন জাতীয় দল থেকে বাতিলের তালিকায় চলে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমেও তেমনভাবে কখনওই বিশেষ নাম দেখা যায়নি তার পর থেকে। খেলেন না হকি ইন্ডিয়া লিগেও। সেই সন্দীপ সিংহ সরাসরি আঙুল তুললেন এ বার। সম্প্রতি নাকি দেশের ড্র্যাগ ফ্লিকাররা নাকি খেলায় মনোনিবেশ করার থেকে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে ভালবাসেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কারও বিরুদ্ধে নই। কিন্তু যদি তাদের মাঠে কোনও কাজ না থাকে তা হলে দলে তার জায়গায় একটা বাড়তি ফুল ব্যাক, ডিফেন্ডার বা ফরোয়ার্ড নেওয়া যেতে পারে।’’

Advertisement

আরও খবর: রবিবারের ডার্বিই বুঝিয়ে দেবে আই লিগের ভাগ্য

এক সংস্থার গ্রাসরুট হকির কনসালট্যান্ট ও টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য যোগ দিয়েছেন তিনি। সেখানেই নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। তিনি যখন সামনে তখন ড্র্যাগ ফ্লিকিং নিয়ে প্রশ্ন আসবে এটাই স্বাভাবিক। রিও অলিম্পিক্সে ভারতের দুই সেরা ড্র্যাগ ফ্লিকারেরই পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে রূপান্তরিত করার সংখ্যা খুবই কম। তিনি বলেন, ‘‘ড্র্যাগ ফ্লিকারদের নিয়ে বড্ড বেশি মাতামাতি করা হয়। বলা হচ্ছে আমাদের কাছে নাকি চার-পাঁচ জন ড্র্যাগ ফ্লিকার রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে যদি সেরা দু’জনকে বের করে আনতে না পারি তা হলে সেটার কি লাভ। চার, পাঁচজন রয়েছে কিন্তু তাঁরা কোনও কাজের না তা হলে তো সেটা বাড়তি লাগেজের মতো অনেকটা। যদি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলের সংখ্যা দেখা যায় সেটা খুবই কম। মাত্র ১৫ শতাংশ।’’

Advertisement

জাতীয় দলের হয়ে ১৫ শতাংশ নাকি অনেকটাই। হিক ইন্ডিয়া লিগে সেটা আরও কম। মাত্র সাত শতাংশ। ৩০-৩৫টির মধ্যে তিন থেকে চারটিতে গোল এসেছে। সন্দীপ বলেন, ‘‘আমার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ। কম ৩৫ শতাংশ। আমার অলিম্পিক্স খুব খারপা ছিল। তবুও সেটা ৩৫ শতাংশ ছিল। পাঁচটির মধ্যে দুটো গোল করেছিলাম। আমি হকি ইন্ডিয়া লিগ দেখিনি। কিন্তু সব খেলা দেখিছি। ওরা গোলকিপার পড়তে পারে না। আসলে এটা পুরোটাই গোলকিপারের মানসিকতা পড়ার বিষয়।’’ সন্দীপের মতে, সম্প্রতি জুনিয়র বিশ্বকাপ দল থেকে এখন থেকেই ২০২০ অলিম্পিক্সের জন্য প্লেয়ার তোলা উচিত। যে কাজ অবশ্য ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে হকি ইন্ডিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement