তবু বলব, পরের দু’টোয় স্পিনিং পিচের দরকার নেই

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্লিনশিট রেখে দেওয়ার পাশাপাশি ইডেনে পড়শি দেশকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে হারাতে না পারার এত দিনের খচখচানিটাও তা হলে গেল! আজ ইডেনের জন্য বড় চ্যালে়ঞ্জ ছিল ঝড়বৃষ্টির পরেও ম্যাচটা করতে পারা। যে ভাবে দ্রুত মাঠ শুকিয়ে ১৮ ওভারের ম্যাচ হল তার পুরো কৃতিত্ব ইডেনের গ্রাউন্ডসম্যান আর সিএবি কর্তাদের। হ্যাটস অফ। এত সবের পরেও অবশ্য একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ভারতের জন্য। এই ভারতীয় দলের কি ম্যাচ জেতার জন্য শুধু টার্নিং উইকেটই চাই?

Advertisement

দীপ দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৫
Share:

আফ্রিদিকে ফিরিয়ে।-পিটিআই

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্লিনশিট রেখে দেওয়ার পাশাপাশি ইডেনে পড়শি দেশকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে হারাতে না পারার এত দিনের খচখচানিটাও তা হলে গেল! আজ ইডেনের জন্য বড় চ্যালে়ঞ্জ ছিল ঝড়বৃষ্টির পরেও ম্যাচটা করতে পারা। যে ভাবে দ্রুত মাঠ শুকিয়ে ১৮ ওভারের ম্যাচ হল তার পুরো কৃতিত্ব ইডেনের গ্রাউন্ডসম্যান আর সিএবি কর্তাদের। হ্যাটস অফ। এত সবের পরেও অবশ্য একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ভারতের জন্য। এই ভারতীয় দলের কি ম্যাচ জেতার জন্য শুধু টার্নিং উইকেটই চাই?

Advertisement

বিশ্ব টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে উঠতে ভারতের পরের দুটো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ লড়াই বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। প্রথমটা বেঙ্গালুরু, পরেরটা মোহালিতে। দুটো মাঠের উইকেটেই কিন্তু সাধারণত সাহায্য পায় পেসাররা। তাই ফের পেস সহায়ক উইকেটে পড়লে ধোনিদের রথের চাকা বসে যাবে না তো?

আমি বলব এই ভারতীয় দলের ম্যাচ জেতার জন্য স্পিন সহায়ক উইকেটের দরকার নেই। দশ মাস আগেও হয়তো ম্যাচ জিততে যেটা ভারতের দরকার হতো। কিন্তু এখন আর নয়। কারণ ধোনির হাতে এখন ম্যাচ জেতানো ডেথ বোলার আছে। তা সে বুমরাহ হোক বা নেহরা। তার উপর বিরাট, রোহিত, শিখর, যুবি সবাই কিন্তু এমন ব্যাটসম্যান যারা চায় বল ব্যাটে আসুক। স্পিনিং ট্র্যাকে যেটা সম্ভব না।

Advertisement

তা হলে গ্রুপের পরের দুটো ম্যাচে ভারতের প্লাস পয়েন্ট কোথায়? বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বাংলাদেশ কিন্তু বড় একটা ধাক্কা খেয়ে রয়েছে। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য তাসকিন, সানির মতো ওদের দুটো প্রধান বোলার বিশ্বকাপে আর নেই। এটা সামলানো মাশরাফিদের কাছে সোজা নয়। আর একটা কথাও বলতে হচ্ছে— বাংলাদেশের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে যতটা ঘাতক লাগছিল, ইডেনে সেই শরীরীভাষায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে রকম লাগেনি। ধোনিদের জন্য এটা পজিটিভ হতে পারে।

এ বার আসি অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। এই ম্যাচটা ভারতের কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল বলা যায়। যার উপর ধোনিদের টুর্নামেন্টে মরা-বাঁচা হয়তো নির্ভর করবে। সমস্যা হল ভারতকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে শুধু নিজেদের বাকি দুটো ম্যাচ জিতলেই হবে না, অন্য দলের রেজাল্টের উপরও নির্ভর করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয়, ভারত দুটো ম্যাচই জিতল আর নিউজিল্যান্ডও গ্রুপে অপরাজিত থাকল। নিউজিল্যান্ড একটা হারলেই কিন্তু সব অঙ্ক আবার বদলে যাবে। তবে ধোনিদের সুবিধে হল, যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামবে তত দিনে গ্রুপের কী অবস্থা, সেমিফাইনালে উঠতে হলে ঠিক কী করতে হবে, কী সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ধোনিরা তখন দেখে শুনে সেমিফাইনালের টার্গেট সেট করতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement