বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ পাড়ুকোন ও বিমল কুমারের সঙ্গে সাইনা। ছবি: পিটিআই।
ভারতীয় ব্যাডমিন্টন এখন যে দুটো মেরুতে বিভক্ত সেটা আরও প্রকাশ্যে চলে এল শুক্রবার।
পিভি সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়াল।
প্রশ্ন ছিল সিন্ধু, না সাইনা— আগামী দিনে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন কে শাসন করবেন?
তাতে প্রকাশ পাড়ুকোন সাইনাকে টপকে সিন্ধু বিশ্বসেরার আসন নেবেন স্পষ্ট বলে দিলেও একমত হতে পারলেন না বিমল কুমার। সাইনার কোচ।
প্রাক্তন অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন এ দিন বলেন, ‘‘সিন্ধুর এক নম্বরে উঠে আসার ব্যাপারটা ওর আর ওর কোচ গোপীর উপরই নির্ভর করছে। যদি ওরা টুর্নামেন্টের মাঝে যথেষ্ট বিশ্রাম আর সঠিক ট্রেনিংয়ের ব্যাপারটা মাথায় রেখে সামনের বছরটার প্ল্যানিং করতে পারে, তা হলে সিন্ধু খুব তাড়াতাড়ি এক নম্বরে উঠে আসবে।’’
সাইনার কোচ বিমলও সেখানে ছিলেন। তবে তিনি নিজের ছাত্রীর এক নম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীর বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসনে উঠে আসার সম্ভাবনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’’ বলে অবশ্য বিমলের সংযোজন, ‘‘হ্যাঁ, এটা ঠিক সাইনার খুব ভাল প্রতিদ্বন্দ্বী সিন্ধু। আগামী চার-পাঁচ বছরে ওরা দু’জনই বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে দাপট দেখাতে পারে।’’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সাইনার ফিটনেস নিয়ে। রিও অলিম্পিক্স থেকে চোটের জন্য সাইনা বেশ কিছু দিন কোর্টের বাইরে ছিলেন। তাঁর হাঁটুর অস্ত্রোপচারও হয়। চোট সারিয়ে ফিরে এলেও এখনও পুরো ফর্মে ফিরতে পারেননি সাইনা। বিমল অবশ্য বলে দেন, ‘‘যদি সাইনা এ ভাবেই পায়ের চোট কাটিয়ে উঠতে পারে তা হলে বড় টুর্নামেন্টে ও ফের চ্যাম্পিয়ন হবে।’’
প্রকাশ এই জায়গাতেই সাইনার থেকে পাঁচ বছরের জুনিয়র সিন্ধু এগিয়ে বলে মনে করছেন। ‘‘সিন্ধুর বয়স কম, এখনও অন্তত পাঁচ-ছ’বছর ওর মধ্যে চুটিয়ে খেলার ক্ষমতা আছে। তা ছাড়া টপ প্লেয়ারদের সবাইকেই তো ও হারাচ্ছে এখন।’’ প্রকাশ আরও মনে করেন, সিন্ধুকে অলিম্পিক্সের পর আরও আত্মবিশ্বাসী প্লেয়ার মনে হচ্ছে, মাঝে পাঁচ-ছ’সপ্তাহ বিশ্রাম পাওয়ার পর ঠিক যে ভাবে ট্রেনিংটা চেয়েছিলেন গোপীচন্দ সেটা দিতে পারায়।