আগ্রাসী: ২৬ বলে ৫০ রান রিচার। তবু এল না জয়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
২২ ফেব্রুয়ারি: নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ একদিনের ম্যাচেও হার ভারতের মেয়েদের! নিউজ়িল্যান্ড জেতে ৬৩ রানে। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে দ্রুততম ৫০ রান করেন বাংলার রিচা ঘোষ। তিনি ২৬ বলে ৫০ রান করেছেন। কুইন্সটাউনে ০-৪ হারের পরে দলের বোলিং নিয়েও চিন্তা বেড়ে গিয়েছে অধিনায়ক মিতালি রাজের। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে এই বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
প্রবল বৃষ্টির কারণে চতুর্থ ওয়ান ডে ম্যাচ হয় কুড়ি ওভারের। যে ম্যাচে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন শিলিগুড়ির মেয়ে। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও চারটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ১৭৯.৩১। ম্যাচের পরে বাংলার মেয়ের প্রশংসাই শোনা গিয়েছে মিতালির মুখে। তিনি বলেছেন, “উইকেটের পিছনে এবং ব্যাট হাতে আমাদের আস্থা দিচ্ছে রিচা। আশা করছি, বিশ্বকাপে ও আমাদের দলকে অনেক ভাবেই সাহায্য
করতে পারবে।”
টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিতালি। হয়তো ভেবেছিলেন, ভিজে আবহাওয়ায় তাঁর বোলিং ব্রিগেড ভাল কিছু করে দেখাতে পারে। কিন্তু নির্ধারিত ২০ ওভারে নিউজ়িল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ১৯১-৫। জবাবে শুরু থেকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারতের মেয়েরা। ১৯ রানে প্রথম চার উইকেট চলে যায় দলের। উইকেটকিপার-ব্যাটার রিচা এসে ইনিংসের হাল ধরলেও তিনি ফেরার পরে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান রান মিতালির। কোয়রান্টিন পর্ব সেরে ফেরা ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা ফেরেন ১৩ রান করে। ১৭.৫ ওভারে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১২৮ রানে। এই সফরে এটি ভারতের পঞ্চম হার। এর আগে নিউজ়িল্যান্ডে এসে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হেরেছিলেন ভারতের মেয়েরা।
শুরুতে ব্যাট করে অ্যামেলিয়া কেরের ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের সৌজন্যে বড় রান করে নিউজ়িল্যান্ড। অ্যামেলিয়া মারেন ১১টি চার ও একটি ছক্কা। বল হাতেও ৩০ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। ফলে ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় তাঁকেই। ভারতীয়দের মধ্যে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন রেনুকা সিংহ।
ম্যাচের পরে হতাশ মিতালি বলেছেন, “বিশ্বকাপের আগে দলের ভারসাম্য ঠিক করতে আমরা অনেককেই দেখে নিচ্ছি। তবে মানতেই হবে, বোলিং নিয়ে চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে।” যোগ করেছেন, “আমরা অনেক দিন হল নিউজ়িল্যান্ডে চলে এসেছি। এত দিনে এখানকার আবহাওয়া এবং হাওয়ার সঙ্গে বোলারদের নিজেদের মানিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বোলিং ব্রিগেড এখনও ধারাবাহিক হতে পারেনি। বিশ্বকাপের আগে যে বিষয়টা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয় আমাদের কাছে।”
তবে শেফালি বর্মার মতো তরুণ তারকাকে দলে পেয়ে সন্তুষ্ট মিতালি। চলতি সিরিজ়ে তিনি তেমন বড় রান না পেলেও মিতালি মনে করেন, “বিশ্বক্রিকেটে উঠতি তারকাদের অন্যতম শেফালি। আশা করি, শেফালিও আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।” তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে।’’