চর্চায়: বিরাটের থেকে অন্যদের শিক্ষা নিতে বলছেন লক্ষ্মণ (ইনসেটে)। রয়টার্স
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমদাবাদে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে সিরিজে সমতা ফেরাতে সাহায্য করেছিল অধিনায়ক বিরাট কোহালির ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস। সেই প্রসঙ্গ সামনে এনে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের তাঁর সম্পর্কে মূল্যায়ন, বিরাট একই ৃভুল বার বার করেন না।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচ বল খেলে শূন্য রান করেছিলেন বিরাট। সেই ম্যাচে প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে রান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চার বলে রান করতে না পেরে পরের বলে শট নির্বাচনে ভুল করেন ভারত অধিনায়ক। যার ফলে ক্রিস জর্ডানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। কিন্তু পরের ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৪৮ রানের ওই ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার আগে শুরুতে ভারতীয় ওপেনার কে এল রাহুল শূন্য রানে আউট হলেও অভিষেককারী ব্যাটসম্যান ঈশান কিশানকে চাপমুক্ত রেখে স্বাভাবিক খেলতে সাহায্য করেন কোহালিই। এর পরে ঈশান ৩২ বলে ৫৬ রান করে ফেরার পরে নিজের ছন্দে খেলে ভারতকে ম্যাচ জেতান বিরাট।
ভারত অধিনায়কের প্রশংসা করতে গিয়ে লক্ষ্মণ সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘বিরাট কেন ভারতের সেরা ক্রিকেটার তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। ও কখনও একই ভুল বার বার করে না। ভুল থেকে শিক্ষা নেয় বিরাট।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে আমরা দেখেছিলাম, শুরু থেকেই রান তোলার জন্য তাড়াহুড়ো করছিল বিরাট। সেই কারণেই আদিল রশিদের বলে আউট হয়েছিল ও। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে তা না করে সময় নিয়েছিল কোহালি। কারণ ও জানে ম্যাচ জিততে গেলে ঠিক কী করতে হবে।’’
বিরাটের প্রশংসা করে লক্ষ্মণ আরও হলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিরাট যখনই ধারাবাহিক ভাবে রান করেছে দেখা যাবে তখন ও তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়েছে। প্রথমে থিতু হতে কয়েকটা বল নিয়ে, তার পরে রান তোলার গতি বাড়িয়েছে। ও কেবল চার, ছক্কার উপরে নির্ভর করে রান বাড়ায়নি। খুচরো রানের ক্ষেত্রেও মনোনিবেশ করে এক রানকে দু’রান বানিয়েছে। আর সেটা ও করতে পেরেছে দুরন্ত ফিটনেসের সৌজন্যে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এটা সত্যিই একটা শিক্ষা। প্রত্যেককে জানতে হয় তাঁর আসল শক্তি কোথায়। যেমন পোলার্ড বা ক্রিস গেলের শক্তি হল বড় শট মেরে রান তোলা। বিরাট কোহালির ধরনটা হল, ক্রিকেটের প্রথাগত শটেই চার-ছক্কা মেরে রান বাড়ানো। এতে বোলারদের উপরে চাপ
অনেকটাই বেড়ে যায়।’’