নতুন ভুমিকায় পন্থ
তাঁর কিপিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে এবং উঠছে। বেশ কিছু দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে সেই সমালোচকদের চুপ করিয়েছেন তিনি।
তাঁর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং উঠছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দায়বদ্ধ ইনিংস খেলে সমালোচকদের চুপ করিয়েছেন তিনি।
কিন্তু একটা জিনিস নিয়ে প্রশ্ন ওঠানোর সাহস সম্ভবত তাঁর চরম শত্রুও দেখাতে পারবেন না। তাঁর ‘সেন্স অফ হিউমার’ বা হাস্যরস।
কার্যত সবদিক থেকেই ঋষভ পন্থ ক্রমশ নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। মূলত ব্যাটিংয়ের কারণেই ঋদ্ধিমান সাহাকে সরিয়ে টেস্ট দলে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন তিনি। দল তাঁর উপরে সেই ভরসা দেখাতেই ধীরে ধীরে কিপিংয়ে উন্নতি শুরু করেছেন। তবে উইকেটের পিছন থেকে ইদানীং যে সব ‘ওয়ান-লাইনার’ দিচ্ছেন, তা অবাক করেছে তাঁর অতি বড় ভক্তকেও। বিখ্যাত হিন্দি গানের অনুকরণে তাঁর ‘স্পাইডারম্যান, স্পাইডারম্যান’ শুনে হাসতে হাসতে ফেটে পড়েছেন দর্শকেরা।
উইকেটের পিছনে ক্রমাগত বকবক করে যাওয়ার জন্য এক সময় পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটকিপার মইন খানের বেশ ‘সুনাম’ ছিল। ভারতে এই উদাহরণ বিশেষ নেই। নয়ন মোঙ্গিয়া তবুও দলকে কিছুটা তাতানোর চেষ্টা করতেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মুখ থেকে ‘ওয়েল বোল্ড’ বা ‘বহত আচ্ছা’ ছাড়া কিছু শোনা যেত না।
পন্থ এদিক থেকে তাঁর পূর্বসূরীদের রীতিমতো ছাপিয়ে গিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টে তো বটেই, তাঁর বচন ইতি-উতি শোনা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়াতেও। আর এই নিয়েই বারবার ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যম। মুহুর্মুহু তাঁর ভিডিয়ো ছড়িয়েছে অন্তর্জালে।
বেশ কিছু প্রাক্তন উইকেটকিপার জানিয়েছেন, পন্থের মন্তব্যগুলি শুধু দলকে হাসায় না, চাঙ্গা করে তোলে সতীর্থদেরও। অনেক সময়েই দীর্ঘ জুটি চলাকালীন শরীরীভাষা কিছুটা স্তিমিত থাকে ক্রিকেটারদের। দীর্ঘ সময় ধরে সাফল্য না পেলে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। খেলার ইচ্ছে থাকে না তখন। সেই সময়ে তাঁদের চাঙ্গা করা জরুরি। কিছু জনের আবার মত, বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয় উইকেটকিপারদের। মুহূর্তের ভুলে ক্যাচ বা স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। তাই অনেক সময় নিজেদের চাঙ্গা করতেও এ ধরনের পন্থা নেন অনেকে।
তবে সমর্থকরা এত কিছু ব্যাখ্যা চান না। প্রতিটি ভিডিয়ো জনপ্রিয় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা চাইছেন, পন্থ এ রকম আরও বলুন। রুরকি তরুণও থামার লক্ষণ দেখাচ্ছেন না।