শততম টেস্টের মুখে ইশান্ত। ছবি: পিটিআই
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকায় যখন টেস্ট অভিষেক ঘটছে তাঁর, বিরাট কোহালি তখন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার। বিরাটের দিল্লি দলের সতীর্থ, সেই ভারতীয় পেসার খেলতে চলেছেন তাঁর ১০০তম টেস্ট। ইশান্ত শর্মার বয়স ৩২ বছর ৫ মাস, বিরাটের থেকে মাত্র ২ মাসের বড় তিনি।
জাহির খান, যশপ্রীত বুমরা বা মহম্মদ শামির মতো পেসাররা থাকায় অনেক সময়ই বাদ পড়ে যান ইশান্ত। তবে তাঁর মতো অফুরন্ত পরিশ্রমের ক্ষমতা খুব কম পেসারেরই রয়েছে। কিছু মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে ইশান্ত নিজেকে বলেছিলেন, ‘নিভতে চলা প্রদীপের শেষ আলো।’ সেই সময় ৯৬ তম টেস্ট খেলা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। মোতেরাতে খেলতে নামবেন শততম টেস্ট। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে এমন কৃতিত্ব এক মাত্র রয়েছে কপিল দেবের। তাঁর পর ইশান্তই দ্বিতীয় ভারতীয় পেসার যিনি এই কীর্তি গড়বেন।
দিল্লি দলে ইশান্তের প্রাক্তন সতীর্থ বিজয় দাহিয়া বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, ইশান্তই শেষ ভারতীয় পেসার, যে শততম টেস্ট খেলবে। আমি কাউকে দেখছি না যে এমন কীর্তি গড়তে পারে। অধিকাংশ পেসারই আইপিএলের জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। ১০০টা টেস্ট খেলার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
১৪ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন ইশান্ত। ৯৯ টেস্টে নিয়েছেন ৩০২টি উইকেট। ব্যাট হাতে রয়েছে একটি অর্ধশতরানও। চোট আঘাত বার বার আসে পেসারদের ক্রিকেট জীবনে। সেই সব সামলেই এগিয়ে চলেছেন ‘লম্বু’। দিল্লি দলের অধিনায়ক প্রদীপ সঙ্গওয়ান ১৬ বছর ইশান্তের সতীর্থ। তিনি বলেন, “ও যেমন লম্বা, ওর চুলও তেমন লম্বা ছিল। ও এলেই আমরা বলতাম ‘লম্বা শাহরুখ এসেছে।” ইশান্তের প্রতিভা যে বাকিদের থেকে আলাদা তা দিল্লি দলে খেলতে এসেই বুঝেছিলেন প্রদীপ। তিনি বলেন, “১৭ বছর বয়সেই ও যে গতিতে বল করতো সেটাই ওকে আলাদা করে দিয়েছিল। আমরা জানতাম ও বিশেষ প্রতিভাবান, সেই জন্য বিরাট যখন ২০০৮ সালে আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ইশান্ত তখন ভারতীয় টেস্ট দলের সদস্য। ওর ওই প্রতিযোগিতাতে খেলার প্রয়োজনই হয়নি।”