একসঙ্গে দিনের তিন নায়ক। রোহিতের প্রশ্নের সামনে পন্থ ও সুন্দর। ছবি - বিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়া হোক কিংবা দেশের মাটি, ভারতের দুই তরুণ বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন। একজন ঋষভ পন্থ, অন্যজন ওয়াশিংটন সুন্দর। ওঁদের দাপটে বেশ পিছিয়ে পড়ল ইংল্যান্ড। আর তাই দুই উদীয়মান তারকার সঙ্গে কথা বললেন রোহিত শর্মা। বিসিসিআইয়ের ওয়েব সাইটের সেই সাক্ষাৎকার আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল...।
রোহিত শর্মা: সবমিলিয়ে দিনটা আমাদের বেশ ভালই কেটেছে। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চালকের আসনে আমাদের দল। তবে দুই তরুণ বাইশ গজে যাদু না দেখালে আজ আমরা হাসতে পারতাম না। আমার সঙ্গে আছে ঋষভ পন্থ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। ঋষভকে প্রথম প্রশ্ন করব। কারণ ওর শতরান দুরন্ত ছিল।
আচ্ছা তুমি যখন ব্যাট করতে এলে তখন দলের স্কোর ৮০ রানে ৪ উইকেট। আমি ক্রিজে ছিলাম। তাই আমি জানি তোমার মাথায় কী কাজ করছিল। কিন্তু ক্রিকেট প্রেমীদের সেটা জানাও।
ঋষভ পন্থ: আমি ক্রিজে আসার পর পিচের চরিত্র বুঝে সময় নিয়ে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম...
রোহিত: (পন্থকে থামিয়ে একগাল হেসে) তুমি সত্যি পিচের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করছিলে! তুমি এত কিছু পরিকল্পনা সত্যি করে থাকো?
পন্থ: হ্যাঁ তুমিই তো বলেছিলে পিচের চরিত্র বুঝে ব্যাট করতে। তারপর আমাদের জুটি তৈরি হয়ে গেলে প্রতি আক্রমণে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলে। তোমার কথা শুনেই তো শুরু থেকে শান্ত ছিলাম।
রোহিত: সত্যি শুরুতে তুমি অনেকটা সময় নিয়েছিলে। কিন্তু ৫০ করে ফেলতেই তোমাকে নিজের মেজাজে দেখলাম। এই পিচে আক্রমণ করাও দরকার। সেটা না করলে সফল হবে না। তবে ইনিংসের শুরুর দিকে তোমার ব্যাটিং দেখে খুবই ভাল লেগেছে।
পন্থ: দল লিড পাওয়ার পর আমি শুধু আক্রমণ করার কথা ভাবছিলাম। তাই ওদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।
রোহিত: আমরা সবাই তোমার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ভক্ত। তুমি ব্যাট করলে খেলা অনেক সহজ মনে হয়। কিন্তু এর চেয়েও ভাল ব্যাপার হল তুমি কিন্তু এখন আজেবাজে শট খেলছো না। সেটা গত অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে দেখে আসছি। তুমি ব্যাটিংয়ে কী বদল আনলে?
পন্থ: নিচের দিকে রান করা খুবই কঠিন। আগে ব্যাট করতে নামলে সেটা নিয়ে খুবই চিন্তা করতাম। তাই হয়তো বেশি ভুল করে ফেলতাম। কিন্তু এখন আর নেতিবাচক ব্যাপার মাথায় নিয়ে আসি না। তাই চাপ মুক্ত হয়ে দলের জন্য খেলতে পারছি।
রোহিত: তোমার বয়স কম। তোমার সঙ্গে আমাদের মত দাদারা আছে। তুমি যেমন খেলছো সেটাই ঠিক। তাই মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে যাও। এ বার ‘ওয়াশি’-র সঙ্গে কথা বলব। এই ইনিংসের পর তোমার অনুভূতি কেমন?
ওয়াশিংটন সুন্দর: দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। আমি যে ব্যাট করতে পারি, সেই বিশ্বাস তোমরা সবাই দিয়েছিল। তাই ক্রিজে কিছুক্ষণ কাটানোর পরেই রান করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে যাই। তাই শেষ পর্যন্ত অর্ধশতরান করতে পারলাম। তাছাড়া তোমাদের সঙ্গে কয়েক বছর কাটানোর জন্যও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
রোহিত: তোমরা দুজনেই দলের সম্পদ। সুন্দর, তোমার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও দলের জন্য খুবই কার্যকরী। ঋষভ, তুমি কিন্তু কিপার হিসেবেও অনেক উন্নতি করেছো। সেই সম্পর্কে কিছু বলো।
পন্থ: আমি এখন বলের লাইনে এসে কিপিং করছি। এভাবেই একই জিনিস রোজ অনুশীলন করি। তাছাড়া আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে। তাছাড়া আমাদের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর অনেক সাহায্য করেছে। সেটাও কিন্তু উন্নতির বড় কারণ।
রোহিত: উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে এত কথা কেন বলো?
পন্থ: আসলে আমি প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। তাছাড়া কথা বললে সবাই মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকে। দলের ভালর জন্য সব কিছু করতে রাজি আছি।