হতশ্রী হারে হতাশ কোহালি। -ফাইল চিত্র।
হতশ্রী হারের পরে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি স্বীকার করে নিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্দেশ্যহীন ব্যাটিং, লড়াই করতে না পারার জন্যই ৩৬ রানের লজ্জায় মুখ ঢাকতে হল ভারতকে। টেস্টের প্রথম ২দিন প্রাধান্য দেখালেও তৃতীয় দিনে অজিদের দেড় ঘণ্টার স্পেলে শেষ হয়ে গেল ভারত।
হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ভারত অধিনায়ক বললেন, “এইভাবে হারের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ৬০ রানের মতো লিড নিয়ে আমরা তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমেছিলাম। তখনই ধস নামল। ২ দিন ধরে কঠিন পরিশ্রম করে ম্যাচে নিজেদের ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পর স্রেফ একটা ঘন্টা এত খারাপ গেল যে, সেখান থেকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেল।”
ব্যাটসম্যানদের অয়ারাম-গয়ারাম ব্যাটিংয়ে এক উইকেটে ৯ থেকে ভারত থামল ৩৬ রানে। কোহালি বলছেন, “মনে হয় না, এর আগে আমরা কখনও এত খারাপ ব্যাট করেছি। আমাদের আরেকটু তাগিদ দেখানোর দরকার ছিল। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া যে জায়গায় বল ফেলেছিল, দ্বিতীয় ইনিংসেও একই জায়গায় বল করে গেল। সত্যি কথা বলতে কী, কয়েকটা ভাল বল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু উইকেটে বিশাল কিছু ছিল না।”
আরও পড়ুন: দেড় শতকে এই প্রথম দশকহীন ক্রিকেট
প্যাট কামিন্স-হ্যাজলউডরা একই জায়গায় বল করে গেলেও মানসিকতার জন্য আরও দ্রুত ভেঙে পড়ল ভারত। অধিনায়ক বলছেন, “আমরা ধরেই নিয়েছিলাম রান করা কঠিন। আর তার ফলে বোলাররা আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায়।”
পিঙ্ক বল টেস্টে ভারতকে দুমড়েমুচড়ে দিয়ে হারানোর ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার। অন্য দিকে কাঁধ ঝুলে যাওয়ার অবস্থা ভারতের। ২৬ তারিখ থেকে মেলবোর্নে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। সিরিজে বাকি আরও তিনটি টেস্ট ম্যাচ। সেই টেস্টগুলোয় নেই কোহালি। ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড উঠবে অজিঙ্ক রাহানের হাতে। এই হারের ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে কি নামা যাবে মেলবোর্ন টেস্টে?
সতীর্থদের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন না কোহালি। তিনি বলছেন, “বক্সিং ডে টেস্টে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে বলেই আমার বিশ্বাস। জিতে ফিরতে পারলে অবশ্যই ভাল লাগত।”
এই হারের ধাক্কা সামলে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কঠিন মানসিকতা নিয়েই নামতে হবে ভারতকে মেলবোর্নে। কোহালির কথাকে কি সত্যি প্রমাণিত করতে পারবেন রাহানেরা?