অ্যাডিলেডে বিরাট কোহালি।
মহম্মদ আজহারউদ্দিনের প্রিয় মাঠ ইডেন গার্ডেন্স। জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি এই মাঠেই করেন আজ্জু। আর এক হায়দরাবাদি ভিভিএস লক্ষ্মণকেও খালি হাতে ফেরায়নি ক্রিকেটের নন্দনকাননে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৮১ রানের রূপকথা ইডেনেই লেখেন 'ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল' লক্ষ্মণ।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে আবার অ্যাডিলেডের রোম্যান্স। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তিনি করেন এখানেই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের টেস্ট ভেন্যুর থেকে অ্যাডিলেডেই কোহালির ব্যাট চওড়া থেকে আরও চওড়া হয়েছে।
দেশের মাটিতেও তিনি অ্যাডিলেডের মতো রান কুড়োতে পারেননি। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিলেডে ৭টি ইনিংসে ৫০৩ রান করেছেন কোহালি। তার মধ্যে তিন-তিনটি সেঞ্চুরি। অ্যাডিলেডের পরেই রয়েছে কোহালির নিজের শহর দিল্লি। ৬ ইনিংসে এখানে ৪৬৭ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। মুম্বইয়ে সমসংখ্যক ইনিংস খেলে ৪৩৩ রান করেছেন কোহালি। হায়দরাবাদ (৫ ইনিংসে ৩৭৯ রান) ও নাগপুর (৪ ইনিংসে ৩৬৪) রয়েছে এর পরেই।
আরও পড়ুন: রাহানের ডাকে শতরান হাতছাড়া বিরাটের, ব্যাকফুটে ভারত
বৃহস্পতিবার মিচেল স্টার্কদের বিরুদ্ধে ভাগ্য সহায় ছিল না ভারত অধিনায়কের। তাই অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ৭৪ রানে। এ দিন যে ভাবে এগোচ্ছিলেন তাতে অ্যাডিলেডে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিটা আসছে সবাই ধরেই নিয়েছিলেন। শুরুর দিকে একটু সমস্যা হচ্ছিল। ছন্দ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু খেলা যত গড়াতে থাকে, ততই উজ্জ্বল দেখায় ভারত অধিনায়ককে। রান আউটের পরে বিরাট-ভক্তরা হতাশ। ওইটুকু হতাশাকে দূরে সরিয়ে রাখলে অ্যাডিলেড মানেই অন্য এক বিরাট কোহালি। কিন্তু এই টেস্ট কেন্দ্র এত প্রিয় কেন ভারত অধিনায়কের? কয়েক বছর আগে কোহালিকে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল। সেই সময়ে কোহালিও কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন।
গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
নিজেকে সামলে বলেছিলেন, “হয়তো প্রথম টেস্ট শতরান এই মাঠে বলেই এখানে খেলতে নামলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। অ্যাডিলেডে এলেই আমার অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়। আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা মাঠ।” প্রিয় মাঠে কোহালি তিনটি সেঞ্চুরি করলেও দল কিন্তু হেরে গিয়েছিল। এ বার কী হবে? সময় এর উত্তর দেবে।