সম্মানের লড়াইয়ে জিতে টিম ইন্ডিয়ার উচ্ছ্বাস। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
অবশেষে স্বস্তি ভারতীয় দলে। সিরিজ হেরেও অস্ট্রেলিয়াকে শেষ একদিনের ম্যাচে ১৩ রানে হারিয়ে স্বস্তি বিরাট কোহালিরও। বলেছেন, এতদিন ক্রিকেট খেলার পর এরকম প্রত্যাবর্তনই কাম্য।
ম্যাচের পর ভারত অধিনায়ক বলেন, “আমাদের ইনিংসের প্রথম দিকে এবং অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের পরের দিকে আমরা বেশ কোনঠাসা ছিলাম। কিন্তু দু’বারই আমরা দুর্দান্ত লড়াই করেছি। ১৩-১৪ বছর ক্রিকেট খেলার পর এই প্রত্যাবর্তনই প্রত্যাশিত। সিরিজ হারলেও এই জয়টা খুব দরকার ছিল।আমরা হৃদয় দিয়ে খেলেছি। অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গেলে ঠিক এটাই দরকার।”
কোহালি ৭৮ বলে ৬৩ রান করেন। তাঁর নিজের আরও কিছুক্ষণ উইকেটে থাকা উচিত ছিল জানিয়ে কোহালি বলেন, “আরও একটু বেশি উইকেটে থাকলে ভাল হত। তবে হার্দিক আর জাদেজার জুটিটা খুব ভাল হয়েছে। ওই সময়ে ঠিক ওটাই দরকার ছিল।” এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পেসার নটরাজনের। ১০ ওভারে ৭০ রান দিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন মারনাস লাবুশানে ও অ্যাশটন আগরের উইকেট। তাঁরও প্রশংসা করেন কোহালি। বলেন, “নটরাজন এবং শুভমন গিল দলে একটা টাটকা হাওয়া এনেছে।” ম্যাচের সেরা হার্দিক পাণ্ড্যও নটরাজনের প্রশংসা করে বলেন, “ও যে পরিবেশ থেকে উঠে এসে এই জায়গায় পৌঁছেছে, সেটা আমাদের সবার কাছে অনুপ্রেরণা।” ক্যানবেরার উইকেটের প্রশংসা করে কোহালি বলেন, “এই উইকেটটা অনেক ভাল। বোলাররা কিছুটা হলেও সাহায্য পেয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বোলারদের।”
আরও পড়ুন: টানা ৮ বছর ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন রোহিত
আরও পড়ুন: ৩ ম্যাচে ৩ বার! সিরিজে হ্যাজেলউডের বলেই প্রতি বার আউট কোহালি
নিজের পারফরমেন্স নিয়ে হার্দিক বলেন, “দেশের হয়ে যাতে খেলে যেতে পারি, তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। তাই এই সিরিজে খেলতে পারাটাই আমার কাছে একটা বিরাট ব্যাপার। আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা মানেই নিজেকে সবসময় তৈরি রাখতে হবে। ওদের বিরুদ্ধে নামতে হলেই আমি একটা বাড়তি চ্যালে়ঞ্জ অনুভব করি।”
কোহালির মতো স্টিভ স্মিথও স্বীকার করে নেন, ক্যানবেরার উইকেট বোলারদের সাহায্য করেছে। ৩ ম্যাচে ২টি শতরান-সহ মোট ২১৬ রান করে সিরিজ সেরা হওয়া স্মিথ বলেন, “নতুন বলে এই উইকেটে দুই দলের বোলাররাই বেশি সাহায্য পেয়েছে। সিডনির থেকে এই উইকেট অনেকটাই আলাদা। এখানেই শুক্রবার প্রথম টি২০। এর থেকে ভাল আর কিছু হয় না।”