বিশ্বকাপের আগে বাকি আর দুই ম্যাচ। এই দুই ম্যাচেই ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়ার পালা সারতে হবে। আর এই দুই ম্যাচেই নেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিশ্রামে তিনি। মোহালিতে রবিবার তাই টিম ইন্ডিয়ার প্রথম এগারোয় হতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন।
রোহিত শর্মা সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে করেছেন মোটে ৫১ রান। গড় ১৭। সর্বোচ্চ ৩৭। রোহিতকে এই সিরিজে মেজাজে পাওয়া যায়নি। বিশ্বকাপের আগে বড় রান করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ শেষ এই দুই ম্যাচে। কারণ, বিশ্বকাপে তাঁর উপর অনেকটাই নির্ভর করছে দলের সাফল্য।
শিখর ধওয়নও রানে নেই। খুব খারাপ তাঁর অবস্থা। তিন ম্যাচে করেছেন ২২ রান। গড় ৭.৩৩। বিশ্বকাপের আগে গব্বরের এই দশা রীতিমতো চিন্তাj। তাঁকে রানে ফেরার সুযোগ দিতেই সম্ভবত খেলানো হবে। কারণ, বিশ্বকাপে তাঁকেই রোহিতের সঙ্গী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিন নম্বরে অবশ্যই বিরাট কোহালি। দুরন্ত ছন্দে আছেন। ৯৪.৩৩ গড়ে দুই সেঞ্চুরি সহ করে ফেলেছেন ২৮৩ রান। স্ট্রাইক রেটও দারুণ ১০৮.৮৪। একাই টানছেন দলকে। একদিনের ফরম্যাটে ৪১ সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন।
চার নম্বরে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে অম্বাতি রায়ুডু ১১ গড়ে করেছেন মোটে ৩৩ রান। মোহালিতে তাই লোকেশ রাহুলকে দেখা হতেই পারে। রাহুল এমনিতে ওপেনার। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেন করে রানও পেয়েছেন। কিন্তু চার নম্বরও নামার ক্ষমতা ধরেন।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বিশ্রামে। তাই নিশ্চিত ভাবেই প্রথম এগারোয় আসবেন ঋষভ পন্থ। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাকা করার জন্য এই দুই ম্যাচে রান করতেই হবে তাঁকে। অজিদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান পাননি তিনি। ঋষভকে তাই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে।
কেদার যাদব হায়দরাবাদে প্রথম একদিনের ম্যাচে অসাধারণ ৮১ করেছিলেন। ধোনির সঙ্গে জুটিতে ১৪১ রান যোগ করে ছিনিয়ে এনেছিলেন জয়। কিন্তু, তারপর তেমন রান পাননি। তিন ম্যাচে করেছেন ১১৮ রান। গড় ৫৯। তাঁর অদ্ভূত অ্যাকশনের বোলিংও রাঁচীতে মার খেয়েছে।
বিজয় শঙ্কর হঠাৎই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নিজের দাবি জোরালো করেছেন। তিন ম্যাচে দুই ইনিংসে করেছেন ৭৮ রান। গড় ৩৯। বোলার হিসেবে নাগপুরে শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে জিতিয়েছেনও ম্যাচ। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে বিজয় শঙ্কর বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
রবীন্দ্র জাডেজা এই ফরম্যাটে যে কোনও দলের সম্পদ। আঁটোসাটো বোলিং, বড় শট খেলার ক্ষমতা, ফিল্ডিংয়ে ক্ষিপ্রতা। সব মিলিয়ে তিনি পরিপূর্ণ প্যাকেজ। তবে বিশ্বকাপের দলে নিজের দাবি এখনও জোরালো করতে পারেননি।
প্রথম তিন ম্যাচে খেলেননি। কিন্তু মোহালিতে ভারতের প্রথম এগারোয় ফিরছেন ভুবনেশ্বর কুমার। মহম্মদ শামি যে ভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে ভরসা দিচ্ছেন, তাতে আচমকাই দলে ভুবির জায়গা নড়বড়ে দেখাচ্ছে। এই দুই ওয়ানডে তাই ভুবির কাছে নিজেকে অপরিহার্য় প্রমাণ করার সুযোগ।
এই সিরিজের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী হলেন কুলদীপ যাদব। ‘চায়নাম্যান’ তিন ম্যাচে নিয়েছেন আট উইকেট। গড় ২০। ইকনমি রেট ৫.৪৬। প্রতিটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিয়েছেন উইকেট। বিশ্বকাপে তিনি কোহালির তুরুপের তাস হতে চলেছেন।
জশপ্রীত বুমরা এই সিরিজেও বুঝিয়েছেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। ইকনমি রেট ৪.৭৩। উইকেট নিয়েছেন চারটে। নতুন বলে যেমন, তেমনই ডেথ ওভারে তীক্ষ্ণ তিনি। বুমরা হয়ে উঠতেই পারেন টিম ইন্ডিয়ার চাবিকাঠি।