টসে জিতে অনেকটা কাজই এগিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক। কোহালির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর কাজটা শুরু করেছিলেন ভুবনেশ্বর, আর শেষ করেন চহাল। মেলবোর্নে ভারতের জয়ের অন্যতম দুই কাণ্ডারি যে তাঁরাই। আর বলতে হবে ধোনি-যাদবদের কথাও। দেখে নেওয়া যাক মেলবোর্নে জয়ের নেপথ্য কারণগুলো কী।
টসে জিতে প্রথম কাজটা সেরে রেখেছিলেন অধিনায়ক। প্রথম দিকে পিচ থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে, বুঝেই ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কোহালি। পিচ থেকে সুবিধা নিতে ভুল করেননি ভারতীয় পেসাররা।
প্রথমেই বলতে হবে ভুবনেশ্বর কুমারের কথা। শুরুতেই দুই অজি ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন ভুবি। বাকি ম্যাচে সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি ম্যাক্সওয়েলরা।
ভুবনেশ্বরের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দেন মহম্মদ শামি। প্রথম স্পেলে উইকেট না পেলেও যথেষ্ট ভাল বোলিং করে অজিদের রান তুলতে দেননি। আর দ্বিতীয় স্পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে অজিদের মোক্ষম ধাক্কা দেন।
ভুবি-শামিরা ধাক্কা দেওয়ার কাজটা শুরু করেছিলেন। যাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যান যুজবেন্দ্র চহাল। ছয় উইকেট নিয়ে অজি আক্রমণের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দেন এই ভারতীয় লেগস্পিনার।
অসাধারণ ফর্মে থাকা কুলদীপের বদলে দলে এসেছিলেন চহাল। এ দিন বুঝিয়ে দিলেন তিনিও কম নন। বিশ্বকাপে কুল-চা জুটি ভাঙার আগে অন্তত একবার ভাবতেই হবে কোহালি-শাস্ত্রীদের।
মাত্র ২৩০ রান। যদিও শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু, প্রথমে ধওয়ন-কোহালি পরে কোহালি-ধোনি জুটি প্রাথমিক ধাক্কা সহজেই কাটিয়ে দেন।
বিশেষ করে ধোনি-কোহালি যে ভাবে খেলছিলেন, কোহালি আউট না হলে আরও আগেই হয়তো জয় চলে আসত।
অজিদের জঘন্য ফিল্ডিং, ধোনিদের সহজ ক্যাচ ফেলা- যেন অজি ক্রিকেটীয় সভ্যতার পতনের শঙ্কাকেই স্পষ্ট করল। প্রথম বলেই জীবন পাওয়া মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন, তা এ দিনের ম্যাচে বোঝা গেল।
তাঁকে কেন ফিনিশার বলা হয়, সে কথা এ দিন আবারও বুঝিয়ে দিলেন ধোনি। তাঁর অপরাজিত ৮৭ রান, দলকে শুধু জিতিয়ে ফেরাল তাই-ই নয়, প্রথমে কোহালি পরে কেদারের সঙ্গে সুন্দর পার্টনারশিপ মিডল অর্ডারের অনেক সমস্যার সমাধান করে দিল।
সব শেষে কেদার যাদবের কথাও বলতে হবে। চোট সারিয়ে বহু দিন বাদে দলে ফিরলেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে যে লড়াইটা কেদার করলেন, যে ভাবে ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপ করলেন, তাতে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।Ke