টানা তিন ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের আগে ভরসা দিল ধোনির ব্যাট। ছবি: এএফপি।
অ্যাডিলেডের পর মেলবোর্ন। ফের ‘ফিনিশার ধোনি’ জেতালেন দলকে। শুধু ম্যাচ জেতানোই নয়, একদিনের সিরিজও জেতালেন তিনি। এবং হলেন সিরিজের সেরা। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একদিনের ক্রিকেটে ১০০০ রান করে ফেললেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
অনেক সমালোচনা চলছিল এমএসডির। ২০১৮ ভাল যায়নি। একবারও পঞ্চাশ পার করতে পারেননি। মাঝের ওভারগুলোয় যাচ্ছিলেন আটকে। খুচরো রান নিতে পারছিলেন না। বড় শট মারতে পারছিলেন না। সমালোচনা ক্রমশ বাড়ছিল। বিশ্বকাপের ভাবনা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। সেই আবহেই ধোনির টানা তিন একদিনের ম্যাচে পঞ্চাশ রীতিমতো তাৎপর্যের।
মাথায় রাখতে হবে, সিডনিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫১ করলেও খেলেছিলেন ৯৬ বল। স্ট্রাইক রেট ছিল ৫৩.১২। ডট বলের সংখ্যা ছিল ষাটেরও বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছিল প্রবল চর্চা। যা অ্যাডিলেডে থামিয়ে দিয়েছিলেন শেষ ওভারে জিতিয়ে। ৫৪ বলে অপরাজিত থিলেন ৫৫ রানে। মেলবোর্নের ইনিংস অবশ্য আরও মাহাত্ম্যের। কারণ, এখানে তিনিই মূলত টানলেন। মন্থর হয়ে পড়া উইকেটে চার নম্বরে নেমে তিনি বোঝালেন, বিশ্বকাপের দলে তাঁর থাকা কত জরুরি। ১১৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে থাকল ছয় বাউন্ডারি। সবচেয়ে জরুরি হল, টিম ম্যানেজমেন্টের রাখা আস্থাকে পূর্ণ মর্যাদা দিলেন সিরিজের সেরা হয়ে।
আরও পড়ুন: আবার ধোনি, টেস্টের পর একদিনের সিরিজও জিতে ইতিহাস ভারতের
আরও পড়ুন: ‘সচিনকে সম্মান জানিয়েই বলছি, কোহালিই একদিনের ক্রিকেটে গ্রেটেস্ট’
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ১০০০ রানের জন্য ধোনির প্রয়োজন ছিল আরও ৩৪ রান। এদিনের ইনিংসে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন তিনি অনায়াসেই। এর আগে ভারতীয়দের মধ্যে সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহালি ও রোহিত শর্মার পর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে হাজার রান করেছিলেন ওয়ানডে ফরম্যাটে। সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ধোনি।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)