সিডনি হারলেও, অ্যাডিলেডে চমত্কার জয় ছিনিয়ে এনেছে টিম কোহালি। রান মেশিন বিরাটের ব্যাট থেকে ফের শতরান এসেছে। ফর্মে ফিরেছেন মিস্টার কুল ধোনি। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিখর-কার্তিকরাও। এ বার শেষ একদিনের ম্যাচ। টেস্টের পর একদিনের সিরিজ জিততে মরিয়া কোহালিরা দলে আনতে পারেন পরিবর্তন। দেখুন মেলবোর্নে কেমন হতে পারে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শিখর ধওয়নই। গত বছর ১৯ ম্যাচে ৮৯৭ রান করা শিখর শুরুতে ঝড় তুলতে পারলে লাভ ভারতের। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও অ্যাডিলেডে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দ্রুত রান তোলার কাজটা শিখরের ব্যাট থেকেই শুরু হয়েছিল।
রোহিত শর্মা: গত বছর একদিনের ক্রিকেটে হাজারের বেশি রান করা রোহিত দারুণ ফর্মে রয়েছেন। একদিনের ম্যাচে ভারতের বড় ভরসা। সিডনিতে অসাধারণ শতরান করেছেন। অ্যাডিলেডে বড় রানের টার্গেট নিয়েই ব্যাট করছিলেন। ভাল ফর্মে রয়েছেন।
বিরাট কোহালি: শেষ ম্যাচে রান তাড়া করে ফের শতরান করেছেন ভারতের এই রান মেশিন। গত বছর বিশ্বের সব থেকে বেশি রান সংগ্রহকারী ছিলেন। স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। টেস্টের পর একদিনের সিরিজ জেতার জন্য টিম ইন্ডিয়া এই রান মেশিনের দিকেই তাকিয়ে।
অম্বাতি রায়ুডু: এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে বড় রান পাননি। তবে দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। অতীতের রেকর্ড বলছে, মাঝের ওভারগুলো চমত্কার সামলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ডানহাতির।
দীনেশ কার্তিক: টি টোয়েন্টির পর একদিনের ম্যাচেও ক্রমেই ভারতের পক্ষে অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। অ্যাডিলেডে ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপ বুঝিয়ে দিয়েছে সিডনিতে দ্রুত আউট না হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।
এমএস ধোনি: মাঝে কিছু দিনের অফ ফর্ম বিশ্বকাপে দলে থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি করছিল। কিন্তু, প্রথমে সিডনিতে লড়াইয়ের চেষ্টা আর অ্যাডিলেডে দায়িত্বশীল অর্ধশত প্রমাণ দিল মিস্টার কুল ‘ব্যাক ইন ট্র্যাক’। ধোনির ফর্মে ফেরা নিসন্দেহে কোহালিদের বড় স্বস্তি।
বিজয় শঙ্কর: গত ম্যাচে অভিষেক হওয়া মহম্মদ সিরাজ হতাশ করেছেন দলকে। আবার খলিল আহমেদও অনেক রান দিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে। এ বার সুযোগ আসতে পারে বিজয় শঙ্করের। ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে তামিলনাড়ুর এই অলরাউন্ডারের। নিদাহাস ট্রফি, নভেম্বরে ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছেন। তিন ম্যাচে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮৮ রান করেছিলেন বিজয়।
রবীন্দ্র জাডেজা: ক্রমেই পরিণত হয়ে উঠছেন। অ্যাডিলেডে ভাল বল করার পাশাপাশি ফিল্ডার জাডেজা সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন। যে দক্ষতায় খোয়াজাকে রান আউট করেছেন, তাতে ব্যাটসম্যান-বোলার নন, ফিল্ডার জাডেজাই কোহালির প্রথম পছন্দ।
ভুবনেশ্বর কুমার: বুমরার বিশ্রামের কারণে দলের পেস আক্রমণের দায়িত্ব রয়েছে ভুবির কাঁধেই। অ্যাডিলেডে গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট তুলে বিপক্ষের রানকে অনেকটাই আটকে দিয়েছিলেন। মেলবোর্নেও ভুবির দিকে তাকিয়ে থাকবে দল।
কুলদীপ যাদব: টেস্টের পর একদিনের ম্যাচেও অজিদের বিরুদ্ধে নজর কাড়ছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কুলদীপের ভেল্কিতে ইতিমধ্যেই অনেক জয় এসেছে। গত বছরে ৪৮ উইকেট দখলকারী এই বাঁহাতি অজিদের ভীতির অন্যতম কারণ।
মহম্মদ শামি: প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও অ্যাডিলেডে তিন উইকেট পেয়ে শাস্ত্রির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে পেস আক্রমণের দায়িত্ব শামির কাঁধেই ছাড়তে চাইবেন অধিনায়ক কোহালি।