গাব্বায় শেষ ইনিংসে ২১১ বল খেলা পূজারা ব্যাট করেছিলেন ৩১৪ মিনিট। ছবি: পিটিআই
ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সিরিজ জিতে ফিরল, নাকি যুদ্ধ জয় করল! চেতেশ্বর পূজারাদের দেখলে যুদ্ধ বলে ভুল হতেও পারে। শুধু ব্রিসবেন টেস্টেই শরীরে ১১বার বলের আঘাত পেয়েছেন ভারতের নির্ভরযোগ্য যোদ্ধা। পূজারা জানিয়েছেন শরীরে আঘাত লাগায় যদিও তিনি চিন্তিত নন, কারণ সেটাই তাঁর পরিকল্পনা ছিল।
ব্রিসবেনে শেষ দিনে ব্যাট করার সময় ভারত লাঞ্চ অবধি যাতে উইকেট না হারায়, সেটাই চাইছিলেন পূজারা। রান না হলেও হাতে উইকেট রাখতে চাইছিলেন তিনি। পরের দুই সেশনে রান তোলার চেষ্টা করতে হলে হাতে উইকেট থাকা যে জরুরী, তা জানতেন ভারতের বহু যুদ্ধের নায়ক। পূজারা বলেন, “প্রথম সেশনে বেশি উইকেট পড়লে অস্ট্রেলিয়া সুবিধা পেয়ে যেত। আমরা মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছিলাম প্রথম সেশনে। আমার পরিষ্কার পরিকল্পনা ছিল, রান না এলেও হবে, কিন্তু উইকেট দেওয়া চলবে না। রানের গতি বাড়ানোর জন্য পরের দুটো সেশন রয়েছে।”
এক সংবাদ মাধ্যমকে পূজারা বলেন, “লাঞ্চের সময় আমি অপরাজিত ছিলাম। তবে রান পাইনি। জানতাম শেষ ২ সেশনে রান আসবে। সেটাই হল।” গাব্বায় শেষ ইনিংসে ২১১ বল খেলা পূজারা ব্যাট করেছিলেন ৩১৪ মিনিট। সেই ইনিংসে ১১বার বলের আঘাত লাগে পূজারার। তিনি বলেন, “মাথায় বল লাগলে খুব যে ব্যথা লাগে, এমন নয়। টিভির পর্দায় যতটা ভয়ঙ্কর দেখতে লাগে, হেলমেট থাকায় ততটা জোরে লাগে না। পিচে উঁচু নিচু বাউন্স ছিল। কোনও বলই লাফাচ্ছিল কোনওটা হঠাৎ লাফিয়ে আসছিল। সেই বল ব্যাট ছোঁয়ানো খুব ভয়ঙ্কর। আউট হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। শর্ট লেগ, লেগ স্লিপ, গালি বা উইকেটকিপার, যে কারোর হাতে বল চলে যেতে পারতো। সেই জন্য ঠিক করি ব্যাট দিয়ে খেলব না ওই বলগুলো।”
পূজারা জানিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সময় আঙুলে আঘাত লাগে তাঁর। সেই নিয়েই পরের দুটো টেস্টে খেলেছিলেন তিনি।