বহু দিন পর মাঠে নীল দৈত্যরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের থমকে থাকা ক্রিকেটজীবন। যদিও শুরুতেই ধাক্কা রোহিত শর্মার অনুপস্থিতি। কেমন হবে ওপেনিং জুটি? প্রথম একাদশই বা কেমন হতে পারে? দেখে নেওয়া যাক।
শিখর ধওয়ন: রোহিত না থাকলেও তিনি আছেন। শুধু আছেন নয় স্বমহিমায় আছেন। আইপিএল-এর মঞ্চে পর পর সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন সদ্য। ভারতের হয়েও তাঁর ব্যাট থেকে এমন ইনিংসই দেখতে চাইবেন ক্যাপ্টেন কোহালি।
লোকেশ রাহুল: যে কোনও ভুমিকায় তিনি সমানে লড়ে যান। রোহিতের অনুপস্থিতি ঢাকতে ওপেনে তাঁর ওপর ভরসা করতেই পারে ভারত। আইপিএল-এও পঞ্জাব অধিনায়ক ওপেনার হিসেবে ব্যাট করেই জিতে নিয়েছেন কমলা টুপি। উইকেটরক্ষার দায়িত্বও থাকবে তাঁর ওপরেই।
বিরাট কোহালি: এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান তিনিই। বহু রেকর্ডের হাতছানি তাঁর সামনে এই এক দিনের সিরিজে। টেস্ট সিরিজে পুরো থাকতে পারবেন না। তার আগে সাদা বলের ক্রিকেটেই কি দেখা যাবে বিরাট-তাণ্ডব।
শ্রেয়াস আইয়ার: ভারতীয় দলের ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার রসদ তাঁর মধ্যে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আইপিএল-এ দিল্লিকে নেতৃত্ব দেওয়া শ্রেয়াস কি পারবে বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে?
শুভমন গিল: তরুণ ব্যাটসম্যানের কাছে বড় সুযোগ এই অস্ট্রেলিয়া সফর। রোহিত না থাকায় প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতেই পারেন তিনি। কলকাতার হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছেন আইপিএল-এ। সুযোগ পেতেই পারেন শুক্রবার।
হার্দিক পাণ্ড্য: তাঁর মতো অলরাউন্ডার বিদেশের মাটিতে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন যে কোনও পরিস্থিতিতে। দ্রুত রান তোলা হোক বা পার্টনারশিপ ভাঙা বিরাট ভরসা করতেই পারেন হার্দিকের ওপর।
রবীন্দ্র জাডেজা: ভারতীয় দলের সব চেয়ে বেশি ইউটিলিটি ক্রিকেটার বোধ হয় তিনিই। ধোনি আজও বলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে সে দিন জাডেজা আউট না হলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ত ভারত। দলের প্রয়োজনে শুধু ব্যাটিং, বোলিং নয় ফিল্ডিংয়েও ভরসা হতে পারেন জাদেজা।
মহম্মদ শামি: বাংলার পেসারের আগুনে গতি অস্ট্রেলিয়ার পিচে ঝড় তুলতেই পারে। অজি ব্যাটসম্যানদের বেগ পেতে হবে তাঁর সুইংয়ের বিষে। তিনি যে প্রথম একাদশে থাকবেন তা বলাই বাহুল্য।
নবদীপ সাইনি: পেস বাহিনীতে জায়গা করে নিতে পারেন তিনিও। গতিই তাঁর অস্ত্র। পেস সহায়ক পিচে তরুণ এই পেসার কতটা কার্যকরী হতে পারেন সেটাই দেখার। তাঁর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে একাধিক তরুণ পেসার। তাই দলে জায়গা করে নিতে নিজেকে প্রমাণ করতেই হবে তাঁকে।
যুজবেন্দ্র চহাল: কুলদীপকে রাখা হয়নি এক দিনের সিরিজে। তাই চহালের কাঁধেই থাকবে স্পিন বিভাগের দায়িত্ব। মাঝের ওভারে রান আটকে রাখার গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাঁকেই করতে হবে এই সিরিজে।
যশপ্রীত বুমরা: এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পেসারদের তালিকায় তিনি থাকবেনই। তাঁর বিষাক্ত ইয়র্কার ঘুম কেড়ে নিয়েছে বহু ব্যাটসম্যানের। এই সিরিজে উইকেট তোলার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকবেন বিরাট।