পৃথ্বীর চোট টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা দিয়েছে। পরিকল্পনা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন অধিনায়ক কোহালি। অতীতের সব রেকর্ড মুছে নতুন সূর্য কি উঠবে এ বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কেমনই বা প্রথম একাদশ হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডের প্রথম টেস্টের জন্য।
মুরলী বিজয়: পৃথ্বীর চোট প্রথম একাদশের দরজা খুলে দিয়েছে। এটাই সম্ভবত শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার শেষ সুযোগও বটে।
রোহিত শর্মা: অস্ট্রেলিয়ায় ৩ টেস্টে ২৮ গড় রয়েছে রোহিত শর্মার। করেছেন মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি। ওপেনারদের আকালে তাঁকেই ওপেন করতে দেখা যেতে পারে।
চেতেশ্বর পূজারা: রাহুল দ্রাবিড় পরবর্তী ভারতীয় ক্রিকেটের শূন্যতা পূরণের দায়িত্ব অনেকটা তাঁরই কাঁধে। ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দলে কতটা ভরসার পাত্র হবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করছে এই অস্ট্রেলিয়া সফর।
বিরাট কোহালি: কোনও বিশেষণই বোধ হয় তাঁর ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। অস্ট্রেলিয়া সফরেও তিনিই দলের প্রধান মুখ। এ বারের সফরে ভারতের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে তাঁর উপর।
অজিঙ্ক রাহানে: ধারাবাহিকতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। দ্রাবিড়-সৌরভ-লক্ষ্মণ যুগের উত্তরসূরী হিসাবে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অজিদের বিরুদ্ধে সফল হলে অনেক সমালোচনার জবাব দিতে পারবেন।
হনুমা বিহারী: ছ’নম্বরে হনুমাকেই রাখতে পারে ভারত। ব্যাট হাতে আবির্ভাবেই দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। প্রয়োজনে বল হাতে চমকে দিতে পারেন স্পিনার হনুমা।
ঋষভ পন্থ: ধোনির বিকল্প ভাবা হচ্ছে তাঁকেই। যদিও পথ এখনও অনেক বাকি। ভরসার পাত্র কি তিনি আদৌ হয়ে উঠবেন? অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই ঠিক হয়ে যাবে তাঁর আগামী দিনের ললাট লিখন।
রবিচন্দ্রণ অশ্বিন: টেস্টে দলের এক নম্বর স্পিনার। অ্যাডিলেডের সবুজ পিচে কেমন ভেলকি দেখাতে পারেন, সেটাই দেখার।
ইশান্ত শর্মা: সম্ভবত এটাই শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর হতে চলেছে এই ভারতীয় সিমারের। সবুজ পিচে ইশান্তের পেস কার্যকর হয়ে উঠবে বলেই আশা করা যায়।
মহম্মদ শামি: ৩৬ টেস্টে ১২৮ উইকেট পাওয়া বাংলার ডানহাতি এই পেসার অ্যাডিলেডের সবুজ পিচে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন।
যশপ্রীত বুমরা: দলের সিম আক্রমণের বড় সম্পদ। ইশান্ত-ভুবির সঙ্গে বুমরার ত্রিফলা আক্রমণ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা কী ভাবে সামলান সেটাই দেখার।