অ্যান্টিগায় শুরু হচ্ছে নতুন যুগলবন্দির পরীক্ষা।
জুটি বদলে গিয়েছে। কিন্তু ফর্মুলাটা বোধহয় সেই পুরনোই থেকে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়ার।
উইকেটে ঘাস নেই। নর্থ সাউন্ডের বাইশ গজে বাউন্সও তেমন পাবেন না বোধহয় বোলাররা। যাকে বলে সফট উইকেট। এই উইকেটে বিরাট কোহালি তাঁর পছন্দের ফর্মুলাটা নিয়েই এগোতে চাইছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
অর্থাৎ পাঁচ বোলার, পাঁচ ব্যাটসম্যান আর উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে তা পরিষ্কার করে ভাঙলেন না ভারতের ক্যাপ্টেন।
তবে দলীয় সূত্র থেকে যা জানা গেল। তা এ রকম:
পাঁচ ব্যাটসম্যান— মুরলী বিজয়, শিখর ধবন, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহালি, অজিঙ্ক রাহানে। তবে রোহিত শর্মারও দলে চলে আসার একটা ভাল রকম সম্ভাবনা আছে। সে ক্ষেত্রে পূজারাকে বসতে হতে পারে।
পাঁচ বোলার— মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অমিত মিশ্র ও রবীন্দ্র জাডেজা।'
সব ঠিকঠাক চললে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সম্ভবত এই দল নিয়েই নামছে বিরাট-বাহিনী। যারা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেই নামবে বলে জানিয়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক।
বলে দিলেন, ‘‘আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলব। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলব।’’ আর পাঁচ বোলারের তত্ত্ব নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বেশি ব্যাটসম্যান নিয়ে নামলে হয়তো সাতশো রান তুলতে পারব। কিন্তু কুড়িটা উইকেট নিতে পারব না বোধহয়। আর কুড়িটা উইকেট না নিতে পারলে টেস্ট জেতাও সম্ভব নয়। তাই পাঁচ ব্যাটসম্যান আর উইকেটকিপারকেই বড় রান তোলার দায়িত্ব নিতে হবে।’’
নতুন ইনিংস শুরু হতে চলেছে অনিল কুম্বলের। ভারতীয় কোচ বার বার বলেছেন, ব্যাটসম্যানদের মানসিকতায় বদল আনতে চান। এ দিন দেখা গেল, ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বিশেষ অনুশীলনও চলল। নেটে জোড়ায় জোড়ায় ব্যাট করে। সাধারণত, একটা নেটে একজন করে ব্যাট করতে নামাটাই প্রথা। কিন্তু নতুন কোচের এই নতুন টিম ইন্ডিয়ার প্র্যাকটিসেও নতুনত্ব দেখা যাচ্ছে প্রায়ই। মুরলী ও ধবনকে একসঙ্গে ব্যাট করতে নামতে দেখা গেল একই নেটে। উইকেটের এক দিকে কখনও মুরলী, আর এক দিকে ধবন। স্ট্রাইক রোটেট করে করে ব্যাটিং করলেন দু’জনে। সিঙ্গলসও নিচ্ছিলেন। যেমন ম্যাচে নেন। অন্য নেটে তখন একই ভাবে প্র্যাকটিস করে যাচ্ছিলেন লোকেশ রাহুল ও পূজারা। কোহালি নামলেন রাহানেকে নিয়ে। ম্যাচ পরিস্থিতি তৈরি করে এ ভাবে ব্যাট করেই ম্যাচে উপকার পাওয়া যাবে বলে মনে করে টিম ম্যানেজমেন্ট।
চূড়ান্ত এগারো বলতে না চাইলেও একটা ব্যাপারে কোহালির সাফ কথা, ‘‘প্রথম টেস্ট থেকেই সিরিজের টোন সেট করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তারা বড় চ্যালেঞ্জ হলেও টেস্ট ক্রিকেটে ইদানীং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে, এটা বলা যাচ্ছে না। সে জন্যই হয়তো এ বার বাড়তি মোটিভেশনের খোঁজে ক্যারিবিয়ানরা। এ দিন দেখা গেল, ভিভ রিচার্ডস, কোর্টনি ওয়ালশের মতো কিংবদন্তিরা টেস্ট যুদ্ধে নামার আগে দেশের ক্রিকেটারদের পেপটক দিতে নেটে হাজির।
এক শিবিরে নতুন জুটি। বিপক্ষ শিবিরে হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। ক্যারিবিয়ান সাফারি কিন্তু প্রথম টেস্ট থেকেই জমে উঠতে পারে।