ভারতীয় দলের প্রস্তুতি। ছবি: টুইটার।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভারতীয় দল। বৃহস্পতিবার সাউদাম্পটনে আজিয়াস বোল সংলগ্ন মাঠে দলের প্রত্যেক সদস্যকে নিয়ে প্রথম নেট পর্ব শুরু হয় বিরাট-বাহিনীর।
এ দিন ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো তুলে ধরা হয় টুইটারে। দেখা যায় নেটে অনেকটা সময় ব্যাট করছেন অধিনায়ক বিরাট, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানেরা। বল হাতে চেনা ছন্দে ছুটে আসছেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সিরাজরা। প্রাক্তন ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিংহ চান, টেস্ট ফাইনালে ইশান্ত শর্মার পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হোক মহম্মদ সিরাজকে। হরভজন মনে করেন, বর্তমানে সিরাজ দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ব্রিসবেনে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ছন্দকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বিরাটের।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে হরভজন বলেছেন, ‘‘শেষ দু’বছরে প্রচুর উন্নতি করেছে সিরাজ। তা ছাড়া ওর বর্তমান ছন্দ বিবেচনা করে দেখা উচিত। ব্রিসবেনে বড় ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেয়েছিল ও। আমি অধিনায়ক হলে ইশান্তের আগে সিরাজকেই দলে নিতাম।’’ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হতে চলেছে ১৮ জুন থেকে। ঐতিহাসিক এই ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল আইসিসি। ক্রিকেটের পাঁচটি যুগ মিলিয়ে মোট দশ জন কিংবদন্তিকে আইসিসি-র ‘হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জানানো হয় বৃহস্পতিবার। ক্রিকেটের আদি পর্ব থেকে বর্তমান প্রজন্ম— এই সময়কে মোট পাঁচটি যুগে ভাগ করেছে আইসিসি। প্রত্যেক যুগ থেকে দু’জন কিংবদন্তিকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যাঁদের অবদান কখনও ভুলতে পারবে না ক্রিকেটবিশ্ব।
আইসিসি-র বিশেষ এই সম্মানের তালিকায় এখনও পর্যন্ত ৯৩ জন ক্রিকেটার জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সংখ্যা এ বার সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, কী ভাবে পাঁচটি যুগ ভাগ করা হল? আইসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯১৮ সাল ও তার আগের সময়সীমা— এই পর্বটা হচ্ছে ক্রিকেট শুরুর যুগ। ১৯১৮ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত সময়কে দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী যুগ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ১৯৪৬ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ১৯৭১ থেকে ১৯৯৫ সালের সময়সীমার নাম দেওয়া হয়েছে ওয়ান ডে ক্রিকেটের যুগ। ১৯৯৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সময়কে আধুনিক ক্রিকেট যুগ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক যুগ থেকে ছ’জন ক্রিকেটার মনোনীত হবেন ‘হল অব ফেম’ সম্মানের জন্য। আপাতত প্রত্যেক বিভাগ থেকে দু’জন করে কিংবদন্তিকে বেছে নেওয়া হয়েছে ভোটের মাধ্যমে। ভোটাধিকার ছিল ‘হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত ৯৩ জন ক্রিকেটারের। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংস্থা (ফিকা)-র এক জন প্রতিনিধি ভোটাধিকার পেয়েছেন। তা ছাড়াও আইসিসি-র সিনিয়র সদস্য ও জনপ্রিয় সাংবাদিকেরা ভোটের মাধ্যমে কিংবদন্তিদের বেছে নিয়েছেন। এই ১০ কিংবদন্তির নাম রবিবার আইসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হবে ফেসবুক ও ইউটিউবের এক অনুষ্ঠানে। এ দিন আইসিসি-র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ক্রিকেটের ইতিহাসকে তুলে ধরতে চায় আইসিসি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালকেও স্মরণীয় করে রাখতে চায়। তাই ১০ জন কিংবদন্তিকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে যোগ্য সম্মান আর কী হতে পারে?’’