অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক সাফল্য। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কোহালিরা এ বার মুখোমুখি হচ্ছেন কিউইদের। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, অজিদের থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনেক কঠিন লড়াই অপেক্ষা করেছে বিরাটদের সামনে। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের পরখ করে নেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ। দেখে নিন প্রথম একদিনের ম্যাচে কিউইদের বিরুদ্ধে কেমন হতে পারে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শিখর ধওয়নই। গত বছর ১৯ ম্যাচে ৮৯৭ রান করা শিখর শুরুতে ঝড় তুলতে পারলে লাভ হবে ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরুটা ভাল করলেও বড় রান পাননি। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার এটাই শেষ বড় সুযোগ।
রোহিত শর্মা: একদিনের ম্যাচে ভারতের অন্যতম বড় ভরসা। গত বছর একদিনের ক্রিকেটে হাজারের বেশি রান করা রোহিত দারুণ ফর্মে রয়েছেন। যে দিন খেলেন, সে দিন রাজার মতো খেলেন। কিন্তু, ধারাবাহিকতার অভাব রোহিতের বড় সমস্যা।
বিরাট কোহালি: ওয়ানডেতে তর্কাতিত ভাবে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। গত বছর বিশ্বের সব থেকে বেশি রান সংগ্রহকারীও ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাফল্য আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সমস্যা একটাই, বর্তমান ভারতীয় দলটি বড্ড বেশি কোহালি নির্ভর। ফলে একটা বাড়তি চাপ কাজ করে সব সময়।
এমএস ধোনি: উইকেটের পিছনে মিস্টার কুলই থাকছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে রান পাওয়া, ধোনির ফর্মে ফেরা কোহালিদের স্বস্তি দিয়েছে। ফিনিশার ধোনি বিশ্বকাপের জন্য কতটা তৈরি তার উত্তর এখান থেকেই মিলবে।
কেদার যাদব: চোট সারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দলে ফিরেই ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কিউইদের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে সুযোগ পাচ্ছেন বলা চলে। ব্যাটের পাশাপাশি দক্ষ ফিল্ডার, কার্যকর অফস্পিন বোলারও। কেদার সফল হলে কোহালিদের বিরাট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
দীনেশ কার্তিক: টি টোয়েন্টির পর একদিনের ম্যাচেও ক্রমে মিডল অর্ডারে অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। অ্যাডিলেড-মেলবোর্নে ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপ বুঝিয়ে দলের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কার্তিকের অভিজ্ঞতা দলের পক্ষে জরুরি।
বিজয় শঙ্কর: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে সুযোগ পেলেও অসাধারণ কিছু করতে পারেননি। তবে নিউজিল্যান্ডের মাঠে ইন্ডিয়া এ-র হয়ে সফল হয়েছেন দিন কয়েক আগে। হার্দিক পাণ্ড্য না থাকায় তরুণ বিজয় শঙ্করকে সুযোগ দিতে পারেন কোহালি-শাস্ত্রীরা।
কুলদীপ যাদব: অজিদের বিরুদ্ধে নজর কেড়েছেন। ধারাবাহিক ভাবে ভাল বল করেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কুলদীপের ভেল্কিতে ইতিমধ্যেই অনেক জয় এসেছে। গত বছরে ৪৮ উইকেট নেওয়া এই চায়নাম্যান বোলাটিকে বিশ্বকাপের আগে ভাল করে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে দল।
ভুবনেশ্বর কুমার: দলের পেস আক্রমণের দায়িত্ব রয়েছে ভুবির কাঁধে। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে বল হাতে দারুণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে। বার বার গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট তুলে বিপক্ষের রানকে অনেকটাই আটকে দিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশে ভুবি আরও কার্যকর হবেন আশা করা যায়।
যুজবেন্দ্র চহাল: মেলবোর্নে একার হাতেই অজিদের শেষ করে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই চহালকে বাদ দেওয়ার সাহস দেখাবেন না বিরাটরা।
মহম্মদ শামি: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বল হাতে শামির কেরামতি দেখা গিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে শামির রিভার্স সুইং আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেতে পারে বলেই আশা করা যায়।