চতুর্থ একদিনের ম্যাচে হিসেব-নিকেশ সব পাল্টে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর ব্যাটিংয়ে লজ্জাজনক ভাবে হারতে হয়েছে ভারতকে। এই অবস্থায় পঞ্চম তথা সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। দলে ফিরছেন ধোনি। দেখে নেওয়া যাক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচে কেমন দল নামাতে পারেন রোহিতরা ।
শিখর ধওয়ন: শেষ ম্যাচের আগে পর্যন্ত ৮৪.৫০ গড়ে রান করছেন। চমৎকার ফর্মে রয়েছেন ভারতের এই বাঁহাতি ওপেনার। যদিও চতুর্থ একদিনের ম্যাচে সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে গিয়েছে।
রোহিত শর্মা: বিরাট কোহালি না থাকায় দলের নেতৃত্বে রয়েছেন রোহিত। চলতি সফরে ভালই ফর্মে রয়েছেন। যদিও হ্যামিলটনে ২০০তম ওয়ান ডে দুঃস্বপ্নের কেটেছে হিটম্যানের।
শুভমান গিল: অভিষেক মোটেই ভাল হয়নি। ২১ বলে করেছিলেন মাত্র নয় রান। বিরাট না থাকায় ফের তিন নম্বরে থাকছেন তিনি। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম সফল এই তরুণটিকে নিজের সুনাম অনুযায়ী খেলতে হবে।
অম্বাতি রায়ুডু: অস্ট্রেলিয়ার পর চলতি নিউজিল্যান্ড সফর। খুব বড় রান না করলেও ধারাবাহিক ভাবে রান করে চলেছেন। তবে দল চাপে থাকলে রায়ুডুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিশ্বকাপের আগে চার নম্বরে নিজেকে প্রমাণ করার শেষ সুযোগ।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: চোট মুক্ত হয়ে দলে ফিরছেন। তাই বাদ পড়ার প্রবল সম্ভাবনা দীনেশ কার্তিকের। ফর্মে থাকা ধোনি দলে এলে কিপিংয়ের পাশাপাশি মিডল ব্যাটিং অর্ডারও শক্তিশালী হবে।
কেদার যাদব: বিশ্বকাপের আগে কেদারকে ভাল করে দেখে নিতে চাইছে দল। চতুর্থ ম্যাচ বাদ দিলে মোটের উপর সফল। কিন্তু, চাপের সময় কতটা কার্যকর হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
হার্দিক পাণ্ড্য: শাস্তি থেকে ফিরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের পক্ষে কতটা অপরিহার্য। হার্দিক সুযোগ পাবেন, সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ।
ভুবনেশ্বর কুমার: দলের এক নম্বর পেস বোলার। বুমরা না থাকায় দলের পেস আক্রমণকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরেরও সফল হচ্ছেন।
কুলদীপ যাদব: ভারতীয় স্পিন আক্রমণকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও চলছে কুলদীপ ম্যাজিক।
যুজবেন্দ্র চহাল: কুলদীপের মতোই চহালের স্পিন কিউইদের রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম বিস্ময় চহাল। কুল-চা জুটিকে ঘিরে করে অনেক আশা ভারতের।
মহম্মদ সিরাজ: শেষ ম্যাচে সুযোগ মিলতে পারে মহম্মদ সিরাজের। সে ক্ষেত্রে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে খলিল আহমদকে। দলের পেস আক্রমণের রিজার্ভ বেঞ্চকে ভাল করে দেখে নিতে চাইছেন কোহালি-শাস্ত্রীরা। তাই একটি মাত্র ম্যাচ খেলা সিরাজকে সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা দলের।