ফাইল চিত্র।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পরে এশীয় টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে চিনের বেশির ভাগ প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন না! এমন একটা অবস্থায় এই প্রতিযোগিতায় পুরুষদের দলগত বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইরানকে ৩-১ হারিয়ে পদক নিশ্চিত করে ফেলল ভারত। সৌজন্যে দুরন্ত ছন্দে থাকা শরৎ কমল। এর আগে কখনও কিন্তু ভারতের পুরুষেরা দলগত ভাবে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করেননি। এই প্রথম তাঁরা সেমিফাইনালে উঠলেন।
ইরানের বিরুদ্ধে দোহায় প্রথম ম্যাচে শরৎ কমল এ দিন নিমা আলামিয়াকে ১১-৯, ৬-১১, ১১-৯, ১১-৫ ফলে হারিয়ে ভারতকে ১-০ এগিয়ে দেন। পরের ম্যাচে বিশ্বের ৩৮ নম্বর খেলোয়াড় ভারতের জি সাথিয়ান ১১-৭, ১১-৬, ৬-১১, ১১-৬ ফলে ইরানের নোশাদ আলামিয়াকে হারিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন। যদিও তৃতীয় ম্যাচে হরমিত দেশাই হেরে যান ইরানের আমির হোসেন হোদাইয়ের কাছে। ইরান জেতায় ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২-১। কিন্তু ফিরতি সিঙ্গলসে শরৎ ১১-৮, ১১-৮, ৮-১১, ১১-৯ ফলে নোশাদকে হারিয়ে ব্যবধান ৩-১ করে পদক নিশ্চিত করেন। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া বনাম হংকং ম্যাচে বিজয়ী কোরীয় দলের বিরুদ্ধে খেলবেন ভারতীয়েরা।
এ বার মহিলাদের বিভাগে ভারত কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ১-৩ হেরে গেল জাপানের কাছে। এবং শেষ চারে যাওয়ারও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ জেতেননি। প্রথম ম্যাচে সৃজা আকুলা ৫-১১, ৩-১১, ৩-১১ ফলে হারেন হিতোমি সাতোর কাছে। দ্বিতীয় টাইয়ে সাকি সিবাতার কাছে অর্চনা কামাথ অবশ্য লড়াই করে হারেন। ১২-১০, ৭-১১, ৪-১১, ১২-১০, ৯-১১।
পরের ম্যাচে বঙ্গকন্যা সুতীর্থা ১১-৭, ১১-৮, ৫-১১, ৭-১১, ১১-৮ ফলে ৩৯ মিনিটে হারান মিয়ো নাগাসাকিকে। কিন্তু এর পরের ম্যাচেই সৃজা হেরে বসেন সাকির কাছে। ১১-৮, ১২-১০, ২-১১, ৯-১১, ৮-১১ ফলে। উল্লেখ্য, জাতীয় শিবিরে না আসায় এই প্রতিযোগিতায় ভারতের এক নম্বর মহিলা খেলোয়াড় মনিকা বাত্রাকে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের দলেই রাখেনি সর্বভারতীয় টেবল টেনিস ফেডারেশন।