একটি নো বল। যা একেবারে বদলে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। নো বলে ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে বেশ কয়েক বার দেখা গিয়েছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ দেখা গেল ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ এক দিনের ম্যাচে। ১০২ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম উইকেটটি পড়ে চাহালের বলে। আউট হন ডেভিড মিলার। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, চাহাল নো বল করেছেন। এর পর মিলার-ক্লাসেন জুটিই ম্যাচ জিতিয়ে দেয়। এটাই প্রথম নয়। সাম্প্রতিক অতিতে বেশ কয়েক বার নো বলে আউট করে ম্যাচ হারতে হয়েছে মেন ইন ব্লু-কে।
২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৯২ রান তোলে ভারত। রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত আউট হয়ে যান ক্রিস গেল এবং মার্লন স্যামুয়েলস। ১৮ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে আউট হন সিমন্স। কিন্তু পরে দেখা যায় বলটি নো ছিল। অপরাজিত ৮২ করে দলকে জিতিয়ে দেন সিমন্স।
অধিনায়ক রোহিত শর্মার সেটা ছিল প্রথম ম্যাচ। গত বছর ধর্মশালার সেই ম্যাচে মাত্র ১১২ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। রান তাড়া করতে নেমে দু’উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এর পর যশপ্রীত বুমরার বলে আউট হন উপুল থরঙ্গাও। কিন্তু নো বল হওয়ায় ফের সুযোগ পান তিনি। তাঁর ৪৯ রানের ইনিংসে ভর করে ম্যাচ সহজেই জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ফকর জামানকে ইনিংসের একেবারে প্রথম দিকে আউট করেন যশপ্রীত বুমরা। নো বল হওয়ায় দ্বিতীয় জীবন পান জামান। তাঁর সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান।
পরের ঘটনাও ওই একই ম্যাচের। ব্যাটসম্যানও একই— লেন্ডল সিমন্স। ৫০ রানের মাথায় ফের নো বলে আউট হয়ে জীবন ফিরে পান সিমন্স। এ বার ‘অপরাধী’ হার্দিক পাণ্ড্য।
সর্বশেষ নিদর্শন জো’বার্গের ম্যাচ। চাহালের নো বলে আউট হন ডেভিড মিলার। পরে মিলার-ক্লাসেন জুটিই ম্যাচ জেতায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।