India

যথাসময়ে হলে ভারত নামবে, বলছে আইওএ

আইওসি-র এই সিদ্ধান্তে বিশ্বের বহু অ্যাথলিট ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ এ ভাবে আইওসি অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাত শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৮:৪৩
Share:

ফাইল চিত্র।

অলিম্পিক্স ২৪ জুলাইতেই আয়োজন করার ব্যাপারে এখনও আশা ছাড়ছে না আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা (আইওএ)। তবে করোনাভাইরাসের আক্রমণ যে ভাবে গোটা বিশ্বে ত্রাস ছড়িয়েছে, তাতে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করছেন না অনেকে। তাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা চলছে।

Advertisement

অবশ্য আইওএ-র এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (আইওসি)। ‘‘করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ালেও আমরা আশাবাদী আগামী এক, দু’মাসের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। চিন, যেখানে সব চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ছিল, সেখানে ইতিমধ্যেই অনেকটাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আমাদের মনে হচ্ছে, ঠিক সময়েই তাই অলিম্পিক্স আয়োজন করা যাবে। কোনও বাধা ছাড়াই,’’ জানান আইওএ-র এক কর্তা। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আইওসি আমাদের কাছে সর্বোচ্চ সংস্থা। তাই আইওসি যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমাদের মেনে চলতে হবে। যদি আইওসি বলে, অলিম্পিক্স হবে, তা হলে আমাদের তাতে যোগ দিতে হবে। তা সে যে আশঙ্কাই থাকুক না কেন।’’

আইওসি-র এই সিদ্ধান্তে বিশ্বের বহু অ্যাথলিট ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ এ ভাবে আইওসি অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে। বেশ কয়েক জন কর্তাও এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সমালোচনার মুখে পড়ে আইওসি জানায়, এই পরিস্থিতিতে সহজ কোনও সমাধান সম্ভব নয়। চিনে প্রথম থাবা বসানোর পরে করোনাভাইরাসের জন্য বিশ্ব জুড়ে এখনও পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অলিম্পিক্সের জন্য অ্যাথলিটদের প্রস্তুতি প্রচণ্ড ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় অ্যাথলিটরাও আছেন। বিভিন্ন অলিম্পিক্স যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গিয়েছে। বিদেশে প্রশিক্ষণও নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ বিদেশে যাওয়ার উপরে এখন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিভিন্ন দেশে। ‘‘এটা ঠিক যে আমাদের প্রস্তুতি ধাক্কা খেয়েছে। অনেক অলিম্পিক্স যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতা, বিদেশে প্রস্তুতি শিবির স্থগিত বা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু ভারতই নয় এই সমস্যার সামনে এখন প্রত্যেকটা দেশই। প্রভাবও প্রতিটি দেশের উপরেই পড়বে। তাই আমাদের আশা একই রকম রয়েছে। টোকিয়ো থেকে ১০টি বা তার বেশি পদজক জয়,’’ বলেন আইওসি-র কর্তা। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের সমস্ত অ্যাথলিটদের প্রস্তুতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার, টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আয়োজকেরা এবং আইওসি-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি আমরা।’’

Advertisement

এ দিকে, অতিমারি করোনাভাইরাস রুখতে বৃহস্পতিবার নতুন করে কেন্দ্র সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাদের উদ্দেশে। যাতে অ্যাথলিটদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘‘১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখতে হবে।’’ ক্রীড়ামন্ত্রক সমস্ত জাতীয় শিবির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগেই। তবে যাঁরা এখনও অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন অর্থাৎ যাঁরা অলিম্পিক্সে যোগ্যতা পেয়েছেন বা যোগ্যতা পাওয়ার কাছাকাছি রয়েছেন সেই অ্যাথলিটরা যেন বাইরের কারও সংস্পর্শে না আসতে পারেন সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement