ভারত ৬৮৭/৬ (ঘোষণা) ও ১৫৯/ ৪ (ঘোষণা)
বাংলাদেশ ৩৮৮ ও ২৫০
২০৮ রানে জয় ভারতের
জয়ের রাস্তাটা প্রথম দিন থেকেই তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জিতেই শেষ করতে চেয়েছিল বিরাট অ্যান্ড ব্রিগেড। যে কারণে হায়দরাবাদের মাটিতে টস জিতে ব্যাট করা ছাড়া আর কোনও কিছুই ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও বিরাটের টস ভাগ্য নিয়ে সব সময়ই প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সেই হারকেও জয়ে বদলে দিয়েছে বিরাটের জয়ের ভাগ্য। এ বার অবশ্য প্রথম থেকেই ভাগ্য সহায় ছিল বিরাটের। যার ফল তাঁর ব্যাট থেকে ডবল সেঞ্চুরি তো এলই সঙ্গে এল পুরো দলের ম্যাচ উইনিং পারফর্মেন্স। যার ফল শেষ দিন শেষ বেলায় বাজিমাত ভারতেরই। ২০৮ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতে নিল ভারত। এর মধ্যেও নজর কাড়ল মুশফিকুর, মিরাজদের অদম্য লড়াই। যেটা ভবিষ্যতে কাজে দেবে বাংলাদেশ দলের।
আরও খবর: অশ্বিনের সঙ্গে রেকর্ডে মুশফিকুরও
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় তৈরি করেছিল ভারতের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার লোকেশ রাহুল ফর্মের খোঁজে থাকলেও আর এক ওপেনার মুরলী বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল সেঞ্চুরি। তাঁকে সেই সময় যথাযোগ্য সঙ্গতল দিয়ে গিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। যাঁর ফলে দু রানে এক উইকেট থেকে ভারত পৌঁছে গিয়েছিল ১৮০/২এ। বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৮ রান। সমান তালে তখন ব্যাট চলেছে পূজারারও। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৮৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। লোকেশ রাহুলের শুরুতেই আউট যে ধাক্কাটা দিয়েছিল সেটা মুহূর্তেই সামলে নিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং। এর পর তো ভারতের এক ইনিংসে লেখা হল জোড়া সেঞ্চুরি, একটি ডবল সেঞ্চুরি তিনটি হাফ সেঞ্চুরি। যার মধ্যে দুটো ৮০র ওপর। বিরাট কোহালির ২০৪, ঋদ্ধিমান সাহার অপরাজিত ১০৬ তো ছিলই। সঙ্গে ছিল অজিঙ্ক রাহানের ৮২ ও জাডেজার অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস। যার হাত ধরে ভারতের রান পৌঁছে যায় ৬৮৭/৬এ। এখানেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন বিরাট।
প্রথম ইনিংসে জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৮৮তেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম চার ব্যাটসম্যান তামিম, সৌম্য, মমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ ব্যাট হাতে যখন ব্যর্থ হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরে গিয়েছেন তখনই দেশের ইনিংসের হাল ধরেন দলের সব থেকে বিশ্বস্ত সারথি সাকিব আল হাসান। তাঁর দেখানো পথেই সমানে সমানে ততক্ষণে এগোতে শুরু করে দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সাকিবের ৮২ ও মুশফিকুরের ১২৭ রানের ইনিংস যখন ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছে দলকে তখনই সাকিবের আউটে ছন্দ পতন। এর পর লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। কিন্তু লক্ষ্য থেকে অনেক আগেই থামতে হয় বাংলাদেশকে। এই ইনিংসেই মুশফিকুরের উইকেট তুলে নিয়ে দ্রুততম ২৫০ উইকেটের বিশ্বরেকর্ডও করে ফেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
আরও খবর: দ্রুততম ২৫০ উইকেটের বিশ্বরেকর্ড অশ্বিনের দখলে