মালয়েশিয়া মাস্টার্স জিতে। রবিবার।
অলিম্পিক্সে সাইনা নেহওয়ালের চেয়ে এগিয়ে এই মুহূর্তে পিভি সিন্ধু। সাফ বলছেন পুল্লেলা গোপীচন্দ। জাতীয় ব্যাডমিন্টন কোচের মন্তব্য রবিবার সিন্ধুর মালয়েশিয়া মাস্টার্স খেতাব জেতার পর।
গত বছর চোটের জন্য প্রায় চার মাস কোর্টের বাইরে ছিলেন সিন্ধু। চোট সারিয়ে ফেরার পর ম্যাকাও ওপেন, ডেনমার্কে সুপার সিরিজ ফাইনালের পর কেরিয়ারের পাঁচ নম্বর গ্রাঁ প্রি গোল্ডে বুঝিয়ে দিচ্ছেন রিও অলিম্পিক্সের ১৯৪ দিন আগে কেমন ফর্মে আছেন হায়দরাবাদি তারকা। যেখানে পদক জেতার দৌড়ে দেশের দুই সেরা ব্যাডমিন্টন তারকার মধ্যে কে এগিয়ে জানতে চাইলে গোপীচন্দ আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে দারুণ ভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে সিন্ধু। এই মুহূর্তে ফিটনেসের দিক থেকে দেখলে অলিম্পিক্সে আমি সাইনার চেয়ে সিন্ধুকে এগিয়ে রাখব।’’ পাশাপাশি তিনি আরও যোগ করছেন, ‘‘এই ফর্মে খেললে রিওয় সিন্ধুর হাতে আমি পদক দেখছি।’’
আর সিন্ধু নিজে কী মনে করছেন? তিন বছর পর মালয়েশিয়া মাস্টার্সে ফের চ্যাম্পিয়নের তাজ জিতে সিন্ধু ফোনে বলেন, ‘‘আকাশে উড়ছি মনে হচ্ছে। রিও-র জন্য আমি তৈরি।’’ সাইনা না তিনি, কে পদক জেতার দৌড়ে রিওয়ে ফেভারিট? প্রশ্নটা শুনেই কিছুটা থেমে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের ‘নতুন সাইনা’ বলে দেন, ‘‘সাইনাও ভাল খেলছে। দেখা যাক!’’ সঙ্গে ২০ বছর বয়সির গলায় আরও উছ্বাস, ‘‘আপাতত দেশে ফেরার জন্য তর সইছে না। বাবা-মাও আমার জন্য খুব খুশি। ফিরেও বাবা-মার সঙ্গে মন্দিরে পুজো দিতে যাব।’’
বোঝাই যাচ্ছে গত বছরের চোটের জন্য মাসের পর মাস কোর্টের বাইরে থাকার যন্ত্রণাটা ম্যাকাও আর ডেনমার্ক গ্রাঁ প্রি-র সাফল্যে কিছুটা হলেও ভোলার চেষ্টা করছেন সিন্ধু। আর তার সঙ্গে প্রতিশোধ নেওয়াটাও তো রয়েছে। রবিবারের স্কটিশ প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টি গ্লিমোরই তো তাঁকে তিন বছর আগে ফরাসি ওপেনে হারিয়েছিলেন। এ দিন সিন্ধু তাঁকে উড়িয়ে দেন ২১-১৫, ২১-৯।