দেশভক্তি নানারকম ভাবে হয়। তার জন্য প্রয়োজন সততার।
“আমার দেশের লোকেরা স্বাস্থ্যবান থাকুক। এটাও তো এক ধরণের কর্তব্য। তাই না?” বক্তব্য হাওড়ার ফিজিওথেরাপিস্ট ইমরান খানের। ২০১৫ সালে গাঁধীর জন্মদিনে হাওড়া থেকে পদযাত্রা শুরু করে ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, হরিয়ানা হয়ে দিল্লি পৌঁছেছেন শান্তি ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা নিয়ে। উদ্দেশ্য উত্তরপ্রদেশ ও বিহার হয়ে ১৯৬ দিনে মোট ১২টি রাজ্যের ছ’হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে নিজের শহর পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় ফিরে যাওয়া।
আজ তিনি বললেন “ভারতে এখন অনেকেই যোগ করছে বটে। কিন্তু সঠিক ভাবে যোগ কিভাবে করা যায়, তা অনেকেই জানেন না। এবং সেটাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে শিখিয়ে চলেছি আমি। কারণ আমি মনে করি সঠিক ভাবে যোগ না করলে শরীর ভাল হওয়ার পরিবর্তে খারাপ হয়ে যেতে পারে।”
পাশাপাশি তিনি বললেন “ যোগ আসলে ওষুধের মতো কাজ করে। ঠিক মতো আসন ও শরীরচর্চা করলে তার সুফল ও কুফল দুটোই আমি আমার পদযাত্রায় বুঝিয়ে দিচ্ছি জনগনকে। তাদের বুঝিয়ে বলছি একজন ডাক্তারের ওষুধ সকলের শরীরে যেমন সহ্য হয় না। যোগ ব্যায়ামও ঠিক সেই রকম। মানুষের মাধ্যমে আমি দেশের একতা, শান্তি, স্বাথ্যর বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে।”
২০০৭ সালে ২০ হাজার কিলোমিটার দৌঁড়েছিলেন ৫২ বছরের এই ‘যুবক’। ফের আরএকবার নতুন শপথ নিয়ে পথে নেমেছেন তিনি।
আরও খবর
আমোদপ্রমোদ বন্ধ নেইমারের