ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ।—ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার পরে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ বলে দিলেন, ‘‘গোল করার ফুটবলারের অভাবেই সমস্যায় পড়ছি। আমরা প্রচুর উন্নতি করেছি। গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছি না।’’
দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুনীল ছেত্রীর শেষ চার ম্যাচে গোল নেই। ভারত অধিনায়ক আটকে গেলেই সমস্যায় পড়ছে দল। মনবীর সিংহ বা ফারুখ চৌধরি নেমেও কিছু করতে পারছেন না। এই অবস্থায় জাতীয় কোচ প্রকৃত সত্য সামনে এনেছেন। তা হল দেশে ভাল স্ট্রাইকারের অভাব। যদিও শ্যাম থাপা, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন তারকারা বলছেন, ‘‘দেশের দুটি লিগেই সমস্ত ক্লাব কোচেরা বিদেশি স্ট্রাইকারের উপরে নির্ভর করছেন। ফলে স্বদেশি স্ট্রাইকার উঠে আসছে না। এটাই বড় সমস্যা।’’ তার উপরে জেজে লালপেখলুয়া চোটের জন্য বাইরে। বলবন্ত সিংহ, জবি জাস্টিনের মতো ফুটবলারের খেলাও পছন্দ হচ্ছে না ইগরের।
ওমানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার হেরে যাওয়ার পরে পাঁচ নম্বর ম্যাচের শেষে ভারতের লিগ টেবলে অবস্থান চতুর্থ স্থানে। মাত্র তিন পয়েন্ট পেয়েছেন সুনীল ছেত্রীরা। ভারতের আর তিনটি ম্যাচ হাতে রয়েছে। কাতার এবং আফগানিস্তান (ঘরের মাঠে) এবং বাংলাদেশের (ঢাকা) বিরুদ্ধে খেলতে হবে উদান্ত সিংহদের। এখন গ্রুপের যা অবস্থা, তাতে কাতার এবং ওমানের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া প্রায় পাকা। এই অবস্থায় দেশে ফেরার আগে মাস্কাটে ভারতের বিদেশি কোচ হতাশার মধ্যেও ভাল কিছু বার করার চেষ্টা করছেন। বলেছেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা খেলতে পারিনি ঠিকই, তবে দ্বিতীয়ার্ধে দল ভাল খেলেছে। এটাও ঠিক ওমান আমাদের তুলনায় বেশি গোলের সুযোগ পেয়েছে। তবুও ফুটবলাররা ভয় পায়নি। লড়ে গিয়েছে সমান ভাবে। আমাদের দল একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রথমার্ধে প্রণয় হালদার এবং আদিল খান চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে।’’
ভারতের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ক্রোয়েশীয় কোচ এখনও পর্যন্ত যে ক’টি প্রতিযোগিতায় খেলেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন। তা সত্ত্বেও ওমানের বিরুদ্ধে হারের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘উঁচু বল খেলে ওমান আমাদের শেষ করে দিয়েছে। তবে নির্ভুল পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে দল উন্নতি করেছে।’’
বুধবারই দেশে ফিরেছেন সুনীল, উদান্তরা। ইগরও ফিরেছেন। ফুটবলারেরা আবার চলে যাবেন আইএসএল এবং আই লিগে খেলতে। এখন কোচ কী করবেন? সামনের বছর ২৬ মার্চের আগে ভারতের যে আর কোনও খেলা নেই।