প্রতীকী ছবি
বাংলা থেকে স্ট্রাইকার তুলে আনতে অভিনব উদ্যোগ নিল আইএফএ। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বর থেকেই স্ট্রাইকার অ্যাকাডেমি শুরু করার পরিকল্পনা বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার।
একটা সময় জাতীয় দলে বাঙালি স্ট্রাইকারদেরই আধিপত্য ছিল। কিন্তু গত দেড় দশকে ছবিটাই বদলে গিয়েছে। বাঙালি স্ট্রাইকার হিসেবে ২০০৫ সালে শেষ বার ভারতের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তার পর থেকে শুধুই শূন্যতা। কলকাতার তিন প্রধানেও নিয়মিত কোনও বাঙালি স্ট্রাইকার সুযোগ পান না। এই কারণেই স্ট্রাইকার অ্যাকাডেমি গড়তে মরিয়া আইএফএ। সোমবার শিশির ঘোষ, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, দীপেন্দু বিশ্বাস, সঞ্জয় মাঝি, প্রশান্ত চক্রবর্তী, রহিম নবিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন নিয়ামক সংস্থার সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্ট্রাইকার অ্যাকাডেমি গড়ার। আইএফএ সচিব বললেন, ‘‘ক্লাবগুলো বিদেশি স্ট্রাইকারদের উপরেই নির্ভরশীল। বাঙালি স্ট্রাইকার তুলে আনতে না পারলে বাংলার ফুটবলের উন্নতি সম্ভব নয়।’’ আপাতত ঠিক হয়েছে দু’টি অ্যাকাডেমি করা হবে। একটি সম্ভবত চুঁচুড়ায়। অন্যটি হওয়ার কথা রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে অথবা বারাসতে। কী ভাবে ফুটবলার নির্বাচন করা হবে? প্রাক্তন তারকা দীপেন্দু বললেন, ‘‘আমরা জেলার প্রতিযোগিতাগুলো থেকে ফুটবলার নির্বাচন করব। আমাদের শীর্ষে থাকবেন কিংবদন্তি তুলসিদাস বলরাম।’’ এ ছাড়াও এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আইএসএলের ধাঁচে জেলায় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করার। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আইএফএ দফতরে সংগ্রহশালা গড়ারও।