সমালোচিত রশিদ খান। ছবি: এএফপি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে সব থেকে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড গড়লেন আইসিসি র্যাঙ্কিং-এ বিশ্বের সেরা স্পিনার রশিদ খান। নয় ওভারে ১১০ রান দিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে মার খাওয়া বোলার হিসাবে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন স্নেডেনের (১২ ওভারে ১০৫ রানে ২ উইকেট) রেকর্ড ভাঙলেন তিনি।
রশিদের নয় ওভারে ১১টি ছয় মারেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা, যার মধ্যে ৭টি মারেন অধিনায়ক মর্গ্যান একাই। এরপর প্রশ্ন ওঠে, আইপিএলের অন্যতম সেরা বোলার তথা আইসিসির সেরা স্পিনার বিশ্বকাপে সফল হতে পারছেন না কেন?
এর পেছনে অনেকগুলি কারণের হদিশ দিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেট লিগে রশিদের খেলার কথা। এর ফলে ব্যাটসম্যানরা তাঁর লুকোনো অস্ত্রগুলির সঙ্গে পরিচিত হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। কারও মতে, ইংল্যান্ডের বাইশ গজ ভারতের মতো স্পিন সহায়ক না হওয়ায় এই বিপর্যয়।
আরও পড়ুন: জন্মভূমি নয়, অন্য দেশের হয়ে বিশ্বকাপ মাতাচ্ছেন এই তারকারা
আরও পড়ুন: মর্গ্যানের ছক্কা-বৃষ্টিতে ১৫০ রানে জিতল ইংল্যান্ড
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অনভিজ্ঞতা ফুটে উঠছে বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মতো অ্যাসোসিয়েট দেশের বিরুদ্ধে খেলে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের নাগাল পাওয়া বোধহয় বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে রশিদের পক্ষে। শেষ ১০ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১২টি উইকেট। যার মধ্যে বেশির ভাগ উইকেটই আয়ারল্যান্ডের মতো দ্বিতীয় সারির দলের বিরুদ্ধে। এর ফলে মর্গ্যান, ওয়ার্নার, ডি’ককদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা সহজেই তাঁর বিরুদ্ধে সাফল্য পাচ্ছেন। তা ছাড়া টি টোয়েন্টি লিগে চার ওভার হাত ঘোরানো আর বিশ্বকাপে ১০ ওভার করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। যেমন টি টোয়েন্টি ফরম্যাটেই সুনীল নারাইনকে বিপজ্জনক দেখায়। টেস্ট বা ওয়ানডে ফরম্যাটে ক্যারিবিয়ান ‘মিস্ট্রি স্পিনার’ মোটেও ভয়াবহ নন। রশিদও কি তেমনই? অবশ্য নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করার জন্য রশিদ পাবেন আরও কয়েকটি ম্যাচ। শনিবার ভারতের বিরুদ্ধে নামবে আফগানিস্তান। রশিদ তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বল্প অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ‘টিম ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার ব্যাপার।