ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক জেসন রয়। বৃহস্পতিবার। রয়টার্স
২৭ বছর আগে (১৯৯২) শেষবার গ্রাহাম গুচের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। এই ফর্ম্যাটেই খেলা হয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে আরও এক বার ফাইনালে ইংল্যান্ড। সে বার যদিও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি গুচদের। ২২ রানে তাদের হারায় ইমরান খানের পাকিস্তান। বিশ্বকাপ পেয়েছিল নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে।
কাকতালীয় ভাবে এ বারও নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে ক্রিকেটবিশ্ব। রবিবার লর্ডসের ফাইনালে প্রথম বার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও নিউজ়িল্যান্ড। আগে এই দু’দলই ফাইনালে উঠলেও প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেনি। এমনিতে এ বার শুরু থেকেই ইংল্যান্ডকে দাবিদার ভাবা হয়েছে। কেন তা বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে প্রমাণ করে দিল জেসন রয়, ক্রিস ওকসরা। ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত এজবাস্টনে জিতল অস্ট্রেলিয়াকে আট উইকেটে হারিয়ে।
শুরুতেই আসা যাক জেসন রয়ের প্রসঙ্গে। ওর কব্জির মোচড় দেখলে লক্ষ্মণ ও আজহারউদ্দিনের কথা মনে পড়ে যায়। ভুল আউট না দিলে হয়তো চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ফেলত। তবুও ৬৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে লুকিয়ে ছিল অনেক জবাব। বিশ্বকাপের আগে সে রকম ফর্মে ছিল না রয়। ১৫ জনের দলে অ্যালেক্স হেলস না রয়কে নেওয়া হবে, তা নিয়ে ছিল সংশয়। মর্গ্যান যদিও রয়কেই বেছে নেয়। কেন সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার জবাব দিয়ে গেল ইংল্যান্ড ওপেনার। যে পিচে ২২৩ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া, সেখানে স্টার্ক, কামিন্স, বেহরেনডর্ফদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে গেল রয়। কখনওই অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের চেপে বসতে দেয়নি। সেমিফাইনালের চাপ সামলিয়ে এ ধরনের ইনিংস খেলা কঠিন।
ইংল্যান্ডের জয়ের পিছনে ক্রিস ওকসের অবদানও কোনও অংশে কম নয়। টস জিতে অ্যারন ফিঞ্চ ব্যাটিং নেওয়ার পরে চাপে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বিপক্ষের দুই ওপেনারকে সামনের পায়ে খেলিয়ে বিভ্রান্ত করে ওকস। অন্য দিক থেকে দুরন্ত গতিতে বল করে যায় আর্চার। তিন উইকেট নেয় ওকস। দুই উইকেট তরুণ পেসার আর্চারের।
ফাইনালে কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে আমি ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখব। প্রথম কারণ, ব্যাটিং অর্ডারের গভীরতা। নয় নম্বরে নামা আদিল রশিদেরও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০টি সেঞ্চুরি রয়েছে। দ্বিতীয় কারণ, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাস।
যদিও এই অস্ট্রেলিয়াকে দেখব বলে আশা করিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারল না। তবে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে। আর্চারের বল লেগে থুতনি ফেটে যাওয়ার পরেও ৪৬ রান করে গেল। এই বিশ্বকাপের আবিষ্কার বলা যেতে পারে ক্যারিকেই।