স্তুতি: ধোনির প্রশংসায় বুমরাও।
বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৫ রানে হারানোর পরের দিন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটিংয়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন তাঁর দুই সতীর্থ যশপ্রীত বুমরা এবং যুজবেন্দ্র চহাল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ান বোলাররা ভারতের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত রান তোলার কোনও সুযোগ দেয়নি। ২৮.৫ ওভারে ভারতের রান ছিল ১৪০-৪। এই সময় ধোনি ব্যাট করনে নামেন। প্রাক্তন অধিনায়ক ৬১ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের রান পৌঁছে দেন ২৬৮ রানে।
‘‘কখনও কখনও মনে হয় ধোনি ভাই হয়তো ধীর গতিতে ব্যাটিং করছে। কিন্তু তা নয়। ওই পিচে সময় নিয়ে ব্যাটিং করা জরুরি ছিল। ধোনি ভাই সেটাই করেছে এবং আমাদের ইনিংসকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছে। ওই পিচে ২৬৮ ভাল রান,’’ চহালকে অর্থাৎ চহাল টিভি-তে বলেন বুমরা। যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বিসিসিআই। বুমরা আরও যোগ করেন, ‘‘এই রকম পরিস্থিতিতে ধোনি ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের সাহায্য করে। চাপটা নিজের উপর নিয়ে ইনিংসকে টেনে নিয়ে যায় ধোনি ভাই। তরুণ ক্রিকেটাররা ও সব ইনিংস দেখে শেখে। আমার মতে খুব উঁচু মানের ইনিংস ছিল ধোনি ভাইয়ের।’’
ধোনির ইনিংসের প্রশংসা করেন চহালও। সঙ্গে মজা করে জানান, ধোনি সতর্ক ভাবে খেলছিলেন কারণ তিনি জানতেন আউট হয়ে গেলে তাঁর পরে যে দু’জন ব্যাটসম্যান ছিলেন তাঁরা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ধোনির পরে ব্যাটিং লাইন আপে ছিলেন চহাল ও বুমরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চহাল এবং বুমরা দু’জনই দুটি করে উইকেট নেন। যদিও ফাস্ট বোলার বুমরার সামনে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ ছিল। কার্লোস ব্রাথওয়েট এবং ফাবিয়ান অ্যালেনকে পরপর দুই বলে আউট করেন বুমরা। কিন্তু তৃতীয় বল কোনও মতে সামলে দেন কেমার রোচ। ২৭তম ওভারের প্রথম বলে বুমরা ছন্দে থাকা ব্রাথওয়েটকে ফেরান। ধোনি দুরন্ত ক্যাচ নেন তাঁর। ‘‘আউট সুইংগার করার চেষ্টা করেছিলাম। বলটা ব্যাটের কানায় লাগে এবং তার পরে ক্যাচটা সবাই দেখেছে। বহু বছর ধরেই এ রকম দুরন্ত ক্যাচ নিচ্ছে ধোনি ভাই।’’ পরের বলে ফাবিয়ান এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। হ্যাটট্রিকের বলে কেমার রোচকে ফেরাতে না পারলেও বুমরা তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পেরে খুশি। ‘‘হ্যাটট্রিক বলটা করার আগে ব্যাটসম্যান কী রকম ডেলিভারি আশা করছে, সেটা ভাবছিলাম। ভেবেছিলাম দ্রুত গতির ইয়র্কার আশা করতে পারে। তাই স্লো ইয়র্কার করব ভাবি। সেটা করেওছিলাম। কিন্তু বলটা ও সামলে নেয়। যে রকম ভেবেছিলাম সে রকমই বোলিং করতে পেরে দারুণ লাগছে,’’ বলেছেন বুমরা।