চলতি বিশ্বকাপে খেলতে চেয়েছিলেন এবি। ছবি: এএফপি।
চলতি বিশ্বকাপে এবি ডিভিলিয়ার্স যদি দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে থাকতেন, তা হলে কি এমন বিপর্যয় ঘটত প্রোটিয়াদের? এ রকম প্রশ্ন দিনকয়েক আগেই উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফ্যাফ দু’প্লেসির দলের বিপর্যয় দেখার পরে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলেছিলেন, ‘ফিরে এস এবি।’
বুধবার সাউদাম্পটনে ভারতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হারের পরে বেরিয়ে এসেছে অন্য খবর। জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার চূড়ান্ত দল ঘোষণার ঠিক আগে ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ মেগা টুর্নামেন্টে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরে এসে নামতে চেয়েছিলেন বিশ্বকাপে। তাঁর সেই আর্জি মানা হয়নি বোর্ডের তরফে।
একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবিডি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ দু’ প্লেসি, হেড কোচ ওটিস গিবসন এবং নির্বাচকদের আহ্বায়ক লিন্ডা জোন্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, ডিভিলিয়ার্সর এ হেন ইচ্ছা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়।
আরও খবর: সুপারহিট হিট ম্যান
আরও খবর: পছন্দের পিচ বানিয়ে জেতার অভিযোগ কোহালিদের বিরুদ্ধে! ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠলেন পাক পেসার
এর পিছনে অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবি ডিভিলিয়ার্স গত বছরের মে মাসে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তার পর আর ঘরোয়া ক্রিকেটে নামেননি। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও খেলেননি। তা ছাড়া এবিডি-কে বিশ্বকাপে নেওয়া হলে অবিচার করা হত রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে, যাঁরা সারা বছর খুব ভাল খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন।
এ সব কারণ ঘুরপাক খাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচক, অধিনায়কের মাথায়। সেই কারণেই ডি ভিলিয়ার্সের আর নামা হল না বিশ্বকাপে। তিনি অবশ্য মাঠের বাইরে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকেই সমর্থন করছেন। কিন্তু, দেশের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখে কি রক্তক্ষরণ হচ্ছে না তাঁর বুকে? এবিডির কাছ থেকে অবশ্য এর উত্তর পাওয়া যায়নি।