-টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
বৃহস্পতিবার ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাওয়ার পরই #শেমঅনআইসিসি(#ShameonICC) রবে গর্জে উঠেছে গোটা নেট দুনিয়ায়। একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আইসিসির একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে।
বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডেই কেন আয়োজন করা হল? কেন আইসিসির নজর শুধু মাত্র ধোনির গ্লাভসের দিকেই? কেন বিশ্বকাপের মত একটা টুর্নামেন্টে বৃষ্টির সময় বিকল্প কোনও মাঠের ব্যবস্থা করা হল না? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই #শেমঅনআইসিসি নামে নতুন এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
সৌজন্যে গত আট দিনেচারটি ম্যাচে জয় লাভ করেছে বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড এই সব ক’টি ম্যাচ জিতে আট পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এখন বৃষ্টিই।
টুইটারে আবার অনেকেই ভারতের ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ছবি পাশাপাশি রেখে আইসিসির উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে বলছেন, ভারতে খেলা চলাকালীন বৃষ্টি হলে সম্পূর্ণ মাঠটাই কভার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। অথচ ইংল্যান্ডের মত একটা উন্নত দেশে বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য শুধু মাত্র পিচকেই ঢেকে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়া ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিন যদি ট্রেন্ট ব্রিজের সম্পূর্ণ মাঠ ঢেকে রাখা যেত তা হলে ম্যাচও শুরু করা সম্ভব হত। লাগাতার তিন দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থামলেও যেহেতু সম্পূর্ণ মাঠে কভার ছিল না তাই আউট ফিল্ডের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। আর এ দিনের ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার এটাই প্রধান কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তাই সাধারণ ক্রিকেট প্রেমীরা আইসিসির ম্যানেজমেন্টের উপরও নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে এবারই প্রথম আইসিসি যে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে না নয়, এর আগেও ধোনির উইকেট কিপিং গ্লাভস থেকে বলিদান ব্যাচের লোগো সরানোর নির্দেশ দেওয়ার জন্যও এভাবেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভ ছড়ায়।
তবে শুধু মাত্র টুইটারে #শেমঅনআইসিসি আন্দোলন করে এ সব প্রশ্নের উত্তর আদতেও মিলবে কি না সেই সম্ভাবনা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: আমির বনাম বুমরা, ম্যানচেস্টারে শেষ হাসি হাসবেন কে?
আরও পড়ুন: প্লাস্টার থাকবে দুই সপ্তাহ, তার পরেই ঠিক হবে শিখরের ভবিষ্যৎ