বিরাটের আগ্রাসী নেতৃত্বে উচ্ছ্বসিত সচিনও

টিভি-তে ভারতীয় বোলিং, ফিল্ডিং নিয়ে সচিন তখন বলছিলেন, ‘‘প্রথম দশ ওভারে নিউজ়িল্যান্ডকে অত কম রানে আটকে রাখার পিছনে বিরাটের আগ্রাসী অধিনায়কত্ব খুব কাজে দিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪০
Share:

সচিন তেন্ডুলকর। —ফাইল চিত্র

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান। নিউজ়িল্যান্ডের এই মন্থর ব্যাটিংয়ের পিছনে ভারতীয় পেস জুটির যে রকম ভূমিকা আছে, সে রকমই ভূমিকা আছে বিরাট কোহালির আগ্রাসী অধিনায়কত্বেরও। এমনটাই মনে করেন সচিন তেন্ডুলকর।

Advertisement

বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ থাকার সময় নিউজ়িল্যান্ডের স্কোর ছিল ৪৬.১ ওভারে ২১১-৫। টিভি-তে ভারতীয় বোলিং, ফিল্ডিং নিয়ে সচিন তখন বলছিলেন, ‘‘প্রথম দশ ওভারে নিউজ়িল্যান্ডকে অত কম রানে আটকে রাখার পিছনে বিরাটের আগ্রাসী অধিনায়কত্ব খুব কাজে দিয়েছে।’’ সচিন বিশেষ করে মনে করিয়ে দিতে চান মার্টিন গাপ্টিলের উইকেটের কথা।

যশপ্রীত বুমরার বলে দ্বিতীয় স্লিপে কোহালির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গাপ্টিল। যা নিয়ে সচিন বলেন, ‘‘ভাল করে দেখবেন, বিরাট দ্বিতীয় স্লিপে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়েছিল। ধোনি আর প্রথম স্লিপের চেয়ে ও অনেকটা এগিয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে কারণে বলটা অত দ্রুত বিরাটের হাতে চলে আসে। ও যে ভাবে হাত ঝাড়ছিল, তাতে বোঝা গিয়েছে, বেশ লেগেছে।’’ কিন্তু কেন কোহালি অতটা এগিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্লিপে? সচিনের ব্যাখ্যা, ‘‘বিরাট কোনও ভাবেই চায়নি ব্যাটসম্যান খোঁচা দিলে সেটা সামনে পড়ে যাক। তাই ও এগিয়ে দাঁড়িয়েছিল। উইকেট তোলার জন্য এতটাই আগ্রাসী ছিল বিরাট। ফিল্ড প্লেসিং এবং বোলিং পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও এই আগ্রাসনটা দেখা গিয়েছে বিরাটের মধ্যে। ও সব সময় উইকেট তোলার চেষ্টায় ছিল।’’

Advertisement

নিউজ়িল্যান্ড শুরুতেই এক জন ওপেনারকে হারানোর পরে রীতিমতো গুটিয়ে যায়। কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস বা রস টেলর— কেউই রান তোলার গতি বাড়াতে পারেননি। সচিনের মন্তব্য, ‘‘ক্রিকেট খেলাটা অনেকটাই মানসিক। যখনই ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষকে নিয়ে না ভেবে নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবতে শুরু করে, তখনই সমস্যা হয়ে যায়। নিউজ়িল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হচ্ছিল, ওরা বিপক্ষের চেয়ে নিজের সমস্যার কথা বেশি ভাবছে।’’ সচিন এও মনে করেন, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে এই ব্যাপারটা ঘটে থাকে।

সচিনের সঙ্গী কেভিন পিটারসেনের মন্তব্য, পিচ যে রকমই হোক না কেন, তার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা দরকার। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেপি বলতে থাকেন, ‘‘আমি যখন খেলতাম, তখন আগের রাতে সব সময় ম্যাচটার কথা ভাবতাম। যদি আমার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া হত, তা হলে আমি মনে মনে গ্লেন ম্যাকগ্রা থেকে ব্রেট লি— সবাইকে খেলতাম। প্রতিপক্ষ ভারত হলে স্পিনারদের জন্য একই ভাবে তৈরি হতাম। সব রকম পরিস্থিতির জন্য আপনাকে তৈরি থাকতেই হবে। উইকেটে স্পঞ্জি বাউন্স থাকলে সেই ভাবে খেলতে হবে। আবার নিষ্প্রাণ উইকেট হলে আর এক রকম ভাবে। কিন্তু কোনও ভাবেই অজুহাত দেওয়া চলবে না।’’

ভারতের দুই পেসার, বুমরা আর ভুবনেশ্বর কুমারের প্রশংসাও করেছেন সচিন। বলেছেন, ‘‘প্রথম দিকে উইকেট থেকে যতটা বাউন্স পাওয়া গিয়েছে, সেটা কাজে লাগিয়েছে বুমরা। খুব বুদ্ধি করে বল করেছে ও। গাপ্টিলের উইকেটটাও ওই ভাবে এসেছে। প্রথম দুটো বল বাইরের দিকে মুভ করল। পরের বলটা অফস্টাম্পের লাইনের একটু বাইরে পড়ে বাউন্স করে গাপ্টিলের ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে চলে যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement