ম্যাঞ্চেস্টারে বৃষ্টির লাল চোখ। মাঠ পর্যবেক্ষণে ইনজামাম উল হক। ছবি: এএফপি।
মহম্মদ আমিরকে কীভাবে সামলাবেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি? বুমরা-ধাঁধার সমাধান কি করতে পারবেন সরফরাজরা?
বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দুই প্রতিবেশী দেশের লড়াই ঘিরে ভক্তদের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। তাঁদের বাড়তে থাকা আগ্রহে জল ঢেলে দিতে পারে বৃষ্টি। বিলেতের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার আকাশ মেঘলা থাকবে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি নামার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে ম্যাঞ্চেস্টারে। স্থানীয় সময় দুপুর দুটো পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকলেও বেলা ৩টে থেকে ফের বৃষ্টি নামতে পারে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। অর্থাৎ বিশ্বকাপের সব চেয়ে উত্তেজক ম্যাচ বৃষ্টির জন্য বিঘ্নিত হতেই পারে।
বৃষ্টির জন্য চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে। এর আগে ১৯৯২ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে দুটো করে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে এ বারই। আগামী কয়েক দিনও বিশ্বকাপ ভাসাতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ২৯টি ম্যাচের মধ্যে ১০টি ম্যাচেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছাড়াও আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পারদ চড়ছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের, ম্যাঞ্চেস্টারে পৌঁছলেন পন্থ
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ভারতের ৬-০, কেমন ছিল সেই ম্যাচগুলো? কারা ছিলেন হিরো?
চলতি বিশ্বকাপে লিগ পর্বের ম্যাচে ‘রিজার্ভ ডে’ রাখা হয়নি। বৃষ্টিতে একাধিক ম্যাচ না হওয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষের মুখে পড়েছে আইসিসি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি বলেছেন, ‘‘আইসিসি-র বেশ কয়েকটি মিটিংয়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে ওয়েট-ওয়েদার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়নি। যদিও আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, বৃষ্টির মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল আইসিসি-র বোর্ড মিটিংয়ে।’’ মানি আরও বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য চারটি ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছে। আটটি দল এর শিকার হয়েছে। একটা দলের ম্যাচ যদি দু’বার করে ভেস্তে যায়, তা হলে সংশ্লিষ্ট দল প্রবল চাপে পড়ে যাবে।’’
দুই প্রতিবেশী দেশের রবিবাসরীয় ক্রিকেট-যুদ্ধ বাতিল হয়ে গেলে মাথায় হাত পড়বে আয়োজক, স্পনসর, টেলিভিশন সম্প্রচারকারী চ্যানেলের। ভারত-পাক ম্যাচে বিজ্ঞাপন থেকেই ১৩৭.৫ কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা করেছে সম্প্রচারকারী চ্যানেল। বৃষ্টি হলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তা ছাড়া টিকিট বিক্রি করে যে অর্থ উঠেছে, তাতেও বড় ক্ষতি হবে আইসিসি-র। বৃষ্টির জন্য শুধু যে অধিনায়কের চোখ দিয়ে জল ঝরবে, তা নয়। মাথায় হাত পড়বে অন্যদেরও।