পিটার হ্যান্ডসকম্ব। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর খেলার সম্ভাবনা ক্রমে উজ্জ্বল হচ্ছে। আর ভিতরে ভিতরে ফুটছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে তিনি বলেই দিয়েছেন, ‘‘বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাঠে নামা একটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার।’’
বিশ্বকাপের জন্য প্রথমে যে অস্ট্রেলিয়া দল তৈরি হয়েছিল, সেই দলে জায়গা পাননি হ্যান্ডসকম্ব। কিন্তু শন মার্শের কব্জি ভাঙায় দলে ডাকা হয় হ্যান্ডসকম্বকে। যে প্রসঙ্গে হ্যান্ডসকম্ব বলছেন, ‘‘মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। তবে একই সঙ্গে এটাও বলব, বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত খেলার পরে যে সব সতীর্থেরা চোটের কারণে দেশে ফিরে গেল, তাদের জন্য খারাপ লাগছে। তবে দলের সঙ্গেই রয়েছে ওদের হৃদয় ও মন। এই মুহূর্তে এটাই অস্ট্রেলিয়া ড্রেসিংরুমের চিত্র।’’
ওয়ান ডে ক্রিকেটে দু’বছর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল হ্যান্ডসকম্বের। তার পরে ভালই এগোচ্ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২১ ম্যাচে ৬২৮ রান করেছেন। চলতি বছরের শুরুটাও নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে হ্যান্ডসকম্বের। টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু একটি টেস্টের পরেই বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। তার পরে ওয়ান ডে সিরিজে ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান করার পরেও বিশ্বকাপের দল থেকে শুরুতে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে চোট-আঘাত সমস্যার জন্য পরে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয় বিশ্বকাপের দলে।
হ্যান্ডসকম্ব আরও বলছেন, ‘‘বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় মনে মনে বিশ্বকাপের অনেক সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু এ বার সেই স্বপ্ন সফল হলে তো দারুণ লাগবেই। সুযোগ পেলে দল আমার থেকে কী চাইছে জেনে মাঠে গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে ফিরতে হবে। এটাই এই মুহূর্তে আমার মূলমন্ত্র।’’
ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে চতুর্থ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে হ্যান্ডসকম্বের ব্যাট থেকে এসেছিল ১১৭ রান। সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। যে প্রসঙ্গে হ্যান্ডসকম্ব বলছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যখনই মাঠে নেমেছি, তখনই সেই আত্মবিশ্বাস নিজের মধ্যে ছিল যে, আমি পারবই। ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে ভাল পারফরম্যান্স করায় সেই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় আমার মধ্যে। তাই জানি, সুযোগ পেলে রান করবই।’’