ছবি রয়টার্স।
বার্বেডোজে জন্ম জোফ্রা আর্চারের। কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলিংয়ে তিনি প্রধান অস্ত্র। বিশ্বকাপে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড লড়াই। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে খেলবেন বলে জোফ্রার আফসোস নেই, উল্টে শুক্রবারের লড়াই তাঁর কাছে আর পাঁচটা সাধারণ ম্যাচ!
এ’বছরের গোড়ায় জোফ্রা প্রথম ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য মনোনীত হন। কার্ডিফে রবিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নেন ২৯ রানে। ইংল্যান্ড যে ম্যাচ জেতে অনায়াসে। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচেও জোফ্রাকে ঘিরে ইংরেজদের যাবতীয় প্রত্যাশা। যে ম্যাচ নিয়ে তিনি নিজে বললেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ আমার কাছে আলাদা হবে কেন। বাংলাদেশ ম্যাচের মতোই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবাইকে ভাল মতো জানি। ওদের অনূর্ধ্ব উনিশ দলে এখনকার অনেকের সঙ্গে খেলেছি। তাই ওদের বিরুদ্ধে খেলতে নামা আশা করি আমার কাছে মজার অভিজ্ঞতা হবে।’’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সৌম্য সরকারকে বোল্ড করা জোফ্রার বল স্টাম্পে লেগে সোজা মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ে। যা দেখে বিস্মিত ক্রিকেটবিশ্ব। প্রায় নিয়মিত তিনি ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বল করেন। যে কারণে অনেকে তাঁর সঙ্গে বিশ্বসেরা পেসারদের তুলনা করছেন। সৌম্যকে আউট করা বল নিয়ে জোফ্রার কথা, ‘‘ব্যাপারটায় নিজেও অবাক হয়েছি। এ রকম যে হতে পারে সেটা প্রথম দেখলাম। আগে একবার দেখেছিলাম একটা বল ব্যাটসম্যানের হেলমেটে লেগে ছয় হতে। কিন্তু এই রকম অভিজ্ঞতা প্রথম। ঘটনাচক্রে সেই বোলার যে আমি নিজে তা ভেবে বেশ অবাক হয়েছি।’’
শুধু আর্চার নন। বাংলাদেশকে চূর্ণ করতে ইংল্যান্ডের আর এক পেসার মার্ক উডের অবদান কম নয়। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘‘মনে হয় না, এই বিশ্বকাপে ওদের থেকে জোরে বোলিং অন্য কেউ করছে।’’ ইংল্যান্ড দলে আর্চারের সঙ্গে উডের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের কথা অনেকে বলেন। জোফ্রা যা নিয়ে মজা করে বললেন, ‘‘আমার বলের গতি উডির (মার্ক উড) থেকে একটু হলেও বেশি।’’