আবারও জুটল না ম্যাচ সেরার পুরস্কার শামির ভাগ্যে। ছবি: এএফপি
পর পর দুই ম্যাচে চার উইকেট, প্রথম ম্যাচে তো আবার হ্যাটট্রিক। তাতেও কোনও ম্যাচেই জুটল না ম্যাচের সেরার পুরস্কার। ক্যারিবিয়ান বাহিনীকে হারিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। দুর্দান্ত বল করেও এই ম্যাচে সেরার পুরস্কার থেকে ব্রাত্য মহম্মদ শামি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিল জনতা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিং ৩০০-র গণ্ডি না পেরোলেও বোলারদের দাপটে জয় ছিনিয়ে নেয় বিরাট বাহিনী। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, তাতে সবার অবদান প্রয়োজন। কিন্তু তাঁর মধ্যে যখন একজনকে ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়, তখন সেই ম্যাচে মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়া মুহূর্তে যার অবদান বেশি তাঁকেই বেছে নেওয়া হয় সেরা হিসেবে। সেই জন্যই গত ম্যাচে হয়ত মহম্মদ শামি হ্যাটট্রিক সহ চার উইকেট নিলেও, ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে আফগানিস্তান ব্যাটিং-এর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া বুমরাহকে।
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শামির অবদান অস্বীকার করার জায়গা নেই। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিরাটের ৮২ বলে ৭২ রানের ইনিংস যেমন ভেঙে পড়া ব্যাটিং লাইন আপকে সাহায্য করেছে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তেমনই শামির ৬.২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট না থাকলে জয়ের রাস্তা এত সহজ হতনা ভারতের জন্য।
শামির নেওয়া চার উইকেটের মধ্যে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেল, তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা শেই হোপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে সারা ফেলে দেওয়া হেটমেয়ার। এ ছাড়া এই ম্যাচের শেষ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনিই।
আরও পড়ুন: শামির হুঙ্কার না বিরাটের ব্যাট, ভারতের জয়ের প্রধান কারণ কী?
রোহিত শর্মা আউট হতে ভারতের ভরসা হয়ে ওঠেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। তাঁর নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং ভরসা যোগায় ভারতীয় ব্যাটিংকে। বিরাট ও ধোনির ৪০ রানের পার্টনারশিপ ধোনিকেও সাহায্য করে সময় নিয়ে ইনিংস গড়তে। যদিও ধোনির এই অতিরিক্ত রক্ষণশীল ব্যাটিং চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বার বার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যানচেস্টারে বৃহস্পতিবারেই আবার একটি রেকর্ড নিজের দখলে করে নেন রান মেশিন কোহালি। দ্রুততম হিসেবে মাত্র ৪১৭টি ইনিংসে তিনি টপকে যান ২০ হাজার রানের গণ্ডি। অনেক বিশেষজ্ঞর মতে বিরাটের ম্যাচের সেরা হওয়ার একটা বড় কারণ এই মাইল ফলক।
যদিও ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে এখন খুশির হাওয়া। ব্যক্তিগত পুরস্কারের গুরুত্ব সেখানে খুব বেশি নেই। কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহালির সংসারে দলের জয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের পাখির চোখ শুধু মাত্র ২০১৯ বিশ্বকাপ। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আগে তাঁরা অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাকি ইচ্ছা করে হারবে ভারত, দাবি করলেন বাসিত আলি