২০১৫ বিশ্বকাপে রুবেল হুসেনের বলে রোহিত শর্মার আউটকে কেন্দ্র তৈরি হয় প্রবল বিতর্ক। রোহিত তখন ব্যাট করছিলেন ৯০ রানে। সেই অবস্থায় রোহিত প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে চাপে পড়তে পারত ভারত। কিন্তু আম্পায়ার আলিম দার হুসেনের ফুলটস বলটিকে কোমরের ওপর নির্ধারণ করে নো বল ডাকেন। অনেকেরই মতে বলটি কোমরের নীচে ছিল। শুরু হয় তীব্র বিতর্ক।
সেই বছরই ভারতকে ২-১ ফলে হোমসিরিজে হারায় বাংলাদেশ। সদ্য দলে অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর কাটারে ঘায়েল করেন একের পর এক ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে। এরপরেই এক বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনে দেখা যায় কোহালি, ধোনি-সহ বাকি ভারতীয় ক্রিকেটারদের অর্ধেক মাথা কামানো। তীব্র বিতর্ক হয় এই বিজ্ঞাপন নিয়ে।
একই সিরিজে ‘ফিজ’বোলিং করার সময় বার বার ব্যাটসম্যানদের দৌড়নোর পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে রোহিত শর্মা তাঁকে সতর্ক করলেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান মুস্তাফিজুর। এরপর ধোনির দৌড়নোর পথ আটকানোর চেষ্টা করলে ‘মাহি’ কনুই দিয়ে আঘাত করেন ‘ফিজ’ কে।ম্যাচের পরে দু’জনেরই ম্যাচ ফি কাটা যায়।
এক বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্ত ভারত-বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে ছবি পোস্ট করেন স্যোশাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদের হাতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কাটা মুণ্ড। দ্রুত ছবিটি স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ভারতীয় সমর্থকরা তীব্র প্রতিবাদকরেন। মজার ব্যাপার ‘মাহি’ ছয় মেরেই ভারতকে জেতান ফাইনালে।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফির গ্রুপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে ‘নাগিন’ ডান্সে মাতেন সাকিব-আল-হাসানরা। ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কা সমর্থকরা ফাইনালে ভারতের হয়ে গলা ফাটান। ম্যাচে গ্যালারিতে বারবার তাঁদের ‘নাগিন’ ডান্স করতে দেখা যায়।দীনেশ কার্তিকের ব্যাটিংয়ে সেবারও জয় অধরাই থেকে যায় বাংলাদেশের।
২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত সেমিফাইনালে হারলে টুইটারে উল্লাস দেখিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মুশফিকুর রহিম। তিনি লেখেন, “ভারতকে হারতে দেখে কী আনন্দই না হচ্ছে। এটাই তো চেয়েছিলাম।” পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিলেও বিতর্ক থামেনি।
বিশ্বকাপের ট্রফি বিতরণ নিয়েও ধুন্ধুমার লাগে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে। আইসিসির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামালকে নিয়মমাফিক বিশ্বকাপ ট্রফি দিতেডাকা হয়নি। ক্ষুব্ধ কামাল রাগে পদত্যাগ করেন। এরপরেই তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে প্রভাব খাটিয়ে তাঁর এই ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য দায়ী করেন।