মুগ্ধ: বুমরাকে ভারতের সম্পদ বলছেন ম্যাকগ্রা। ফাইল চিত্র
হার্দিক পাণ্ড্যের মধ্যে যে যুবরাজ সিংহ হয়ে ওঠার যথেষ্ট প্রবণতা রয়েছে তা আগেই বলে গিয়েছিলেন স্বয়ং যুবরাজ। এ বার গ্লেন ম্যাকগ্রাও একই সুরে সুর মেলালেন। ২০১১ সালে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন যুবরাজ। একাই বিশ্বকাপের রং বদলে দিয়েছিলেন।
চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে ম্যাকগ্রাকে প্রশ্ন করা হয়, ২০১১ সালের যুবরাজ সিংহের মতো ক্রিকেটারের অভাব কি আদৌ অনুভব করবে ভারত? ম্যাকগ্রার সাফ উত্তর, ‘‘হার্দিকই যুবরাজের অভাব পূরণ করে দিতে পারবে। সেই সঙ্গে দীনেশ কার্তিকের মতো ফিনিশার রয়েছে। এই দল নিয়ে যথেষ্ট ভাল ফল করা উচিত ভারতের।’’
ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরার প্রশংসাও করে গেলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী পেসার। তাঁর কথায়, ‘‘বুমরা যে কোনও দলের সম্পদ। ও যে লেংথে বল করে সেটা সত্যি অসাধারণ। ইয়র্কার নিয়ে তো কোনও প্রশ্নই নেই। ডেথ ওভারে ওর মতো বোলারই প্রয়োজন। বোলারদের মধ্যে ও সেরা ফিনিশার। দেখা যাক ইংল্যান্ডের পরিবেশে ও কী রকম পারফর্ম করে।’’
এখানেই শেষ নয়। ম্যাকগ্রা এ বার এলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রসঙ্গে। বলছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় সব সময়েই চাপ থাকে। আইসিসি-র টুর্নামেন্টে সাধারণত ভারত ভালই খেলে। কিন্তু ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় কী করে সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। তবে আমার মনে হয়েছে, ধোনিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ধোনির যা অভিজ্ঞতা এবং যে ভাবে ও ম্যাচটি পড়তে পারে তা অনেকেই পারে না। ভারতের এটাই সুবিধা। এ ছাড়াও বাকিদের গুণগত মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে ধারাবাহিকতা নিয়ে যদি বিশ্বকাপে ফল সে রকম না হয়।’’
বিশ্বকাপে তাঁর ফেভারিট ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের ‘ডিরেক্টর অব কোচিং’ বলছিলেন, ‘‘ইংল্যান্ড অসাধারণ একটি দল। আমার চোখে ওরাই কাপের এক নম্বর দাবিদার। তার পরেই রাখব ভারতকে। ইংল্যান্ডের খেলার ধরনের সঙ্গে অনেকটা মিল পাই বিরাট কোহালির দলের। অস্ট্রেলিয়াও ঠিক সময়ে ছন্দে ফিরে এসেছে। আমাদের দেশকেও পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজও অঙ্ক পাল্টে দিতে পারে। তবে সব চেয়ে বেশি সুযোগ কিন্তু ইংল্যান্ডের।’’
বর্তমানে ম্যাকগ্রার পছন্দ চার পেসার। বুমরা, প্যাট কামিন্স, কাগিসো রাবাডা ও মিচেল স্টার্ক। ‘‘বুমরাকে সব চেয়ে বেশি এগিয়ে রাখব। কামিন্সও অসাধারণ খেলছে। স্টার্ক যদি ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারে, তা হলে ওর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর আর কেউ হতে পারে না।’’