সিদ্ধান্ত: সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় রায়ডুর। ফাইল চিত্র
স্বপ্ন দেখেছিলেন ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলার। নিবার্চকেরা সুযোগ দেননি। হতাশা থেকেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন অম্বাতি রায়ডু। প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের বয়স ৩৩। বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়। কিন্তু বিজয় শঙ্কর চোট পাওয়ার পরে নির্বাচকেরা ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন। রায়ডুর অবসরের খবরে ভারত-অধিনায়ক বিরাট কোহালি টুইট করেছেন, ‘‘তোমাকে শুভেচ্ছা অম্বাতি। তুমি বিরাট ক্রিকেটার।’’
জানা গিয়েছে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট মায়াঙ্ককে চেয়েছিল। অনুমান, এই কারণেই আরও হতাশ হন রায়ডু। তাঁর হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তে ব্যথিত ভারতীয় দলের দুই প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ ও গৌতম গম্ভীর।
অন্ধ্রপ্রদেশের এই ক্রিকেটার অবসরের কথা বোর্ডকে ই-মেল করে জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘‘সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে গেলাম। বিসিসিআই এবং যে সমস্ত রাজ্য দলের হয়ে খেলেছি, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’’ রায়াডু খেলেছেন হায়দরাবাদ, বরোদা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিদর্ভের হয়ে। ভারতীয় দলের হয়ে রায়ডুর ৫৫ ওয়ান ডে’তে রান ১৬৯৪। গড় ৪৭.০৫। টেস্টে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিশ্বকাপ দলে তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা হয়। শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয় বিজয় শঙ্করকে। অথচ কয়েক মাস আগে বিরাট কোহালি স্বয়ং ভারতীয় দলের চার নম্বরে রায়ডুকেই সেরা পছন্দ বলে জানিয়েছিলেন।
কেন রায়ডুকে না নিয়ে বিজয় শঙ্করকে নেওয়া হল? বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান এম এস কে প্রসাদ জানিয়েছিলেন, বিজয় শঙ্কর ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল’ (ত্রিমাত্রিক) ক্রিকেটার। ঘটনা হচ্ছে, বিশ্বকাপে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। বরং পায়ের পাতায় চোট পেয়ে তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডারও দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। প্রসাদের মন্তব্যের পরে রায়ডু সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরিয়ে তাঁকে বিদ্রুপ করে লেখেন, ‘‘বিশ্বকাপ দেখব বলে এইমাত্র নতুন থ্রিডি চশমার অর্ডার দিলাম।’’ ইঙ্গিতটা ছিল এম এস কে প্রসাদের দিকেই।
বোর্ডকে লেখা চিঠিতে রায়ডু আরও লিখেছেন, ‘‘যাদের নেতৃত্বে খেলেছি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে বিরাট কোহালিকে। আমি যে ভাল কিছু করতে পারি ও-ই আমার মনে এই বিশ্বাস এনে দিয়েছিল।’’ ভাল ব্যাটসম্যান হলেও রায়ডু মাঠে বারবার মেজাজ হারিয়েছেন। কখনও সতীর্থ, কখনও আম্পায়ারের সঙ্গে জড়িয়েছেন ঝামেলায়। গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন শুধু ওয়ান ডে খেলবেন। রায়ডুর অবসরের সিদ্ধান্তে বিস্মিত প্রাক্তন তারকা গৌতম গম্ভীরের তোপ, ‘‘রায়ডুর খেলা ছাড়ার জন্য নির্বাচকেরাই দায়ী। আর বিশ্বকাপের জন্য যে দলটা গড়েছে তা চূড়ান্ত হতাশাজনক। যে পাঁচ জন নির্বাচক কমিটিতে আছে তাদের মোট রানের থেকে রায়ডুর রান অনেক বেশি।’’ সহবাগের পরিষ্কার বক্তব্য, ‘‘ওকে বিশ্বকাপ দলে না নেওয়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’’