নয়াদিল্লিতে পিবিএল নিলামে শ্রীকান্তের সঙ্গে পিভি সিন্ধু।
প্রতিদ্বন্দ্বী পেলেন তাঁর চেয়ে অনেকটাই বেশি দর। ক্যারোলিনা মারিন। হতাশই হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁর ডিকশনারিতে হতাশ বলে শব্দটাই যে নেই। তিনি— পিভি সিন্ধু।
রিও অলিম্পিক্সের পর তাঁর আত্মবিশ্বাস যে রকম অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। তেমনই ব্যর্থতাকেও অন্য ভাবে নিতে শিখেছেন। সেটা হল যা হয়েছে হয়েছে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন ভাবে ফিরে আসতে হবে। তাই পিবিএল টু-র নিলামের পর সিন্ধু বলে দিলেন, ‘‘নিলামের পর অবাক হইনি, হতাশও নই। কারণ, চেন্নাই আমাকে ধরে রেখেছে। বরং আমার আরও বেশি আগ্রহ ছিল প্রত্যেকটা দল কী ভাবে বিড করে আর কোন প্লেয়ার কোন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যায় সেটা নিয়ে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এ বার কিন্তু অনেক বেশি অলিম্পিক্স পদকজয়ী খেলছে। তাই পিবিএল এ বার আরও জমে যাবে দেখবেন। এত আন্তর্জাতিক প্লেয়ার এখানে খেলবে, দারুণ মজা হবে।’’
আর মারিনের সঙ্গে লড়াই? ‘‘সবাই তো এই ম্যাচটা নিয়ে কথা বলছে। আশ্চর্যের ব্যাপার ক্যারোলিনা খেলবে হায়দরাবাদ হান্টার্সের হয়ে। ম্যাচটা দারুণ জমবে। আমি মুখিয়ে আছি ম্যাচটার জন্য।’’ কিন্তু বছর খানেক আগেও তো পিবিএলে সেরা লড়াই বলতে ধরা হত তাঁর আর সাইনার ল়়ড়াই। এখন সাইনা চোট সারিয়ে কোর্টে ফেরার লড়াইয়ে। মারিনের বিরুদ্ধে তিনি বদলা নিতে পারবেন কি না সেটা নিয়েই যাবতীয় আগ্রহ। কেমন লাগছে সাইনার জায়গায় সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর আসনে মারিনের এ ভাবে উঠে আসা। সিন্ধু সরাসরি নাম না করেও বললেন, ‘‘সমসময়ই তো প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারটা থাকে। আমি এটা খুব উপভোগ করি। ব্যাডমিন্টনের জন্যও এটা খুব ভাল ব্যাপার।’’
কিন্তু অলিম্পিক্সের পর এ বারও যদি ব্যর্থ হন? যে কোনও খেলোয়াড়ের জীবনেই ব্যর্থতা আসে। এই সিন্ধু কিন্তু ব্যর্থতাকে হতাশায় বদলে যেতে দেন না। ‘‘অলিম্পিক্স আমার মধ্যে একটা বদল এনে দিয়েছে। অলিম্পিক্সে বাছাই প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে খেলেছি। সেখানে দেখেছি তাদেরও আমার মতো র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা প্লেয়ারের কাছে হেরে খারাপ লেগেছে। হতাশও হয়ে পড়েছিল কেউ কেউ। কিন্তু এর পরই তারা আরও কঠিন পরিশ্রমে ডুবে গিয়ে ফিরে এসেছে। একই ভাবে আমিও এ ভাবে ব্যাপারটা দেখতে চাই।’’