Cricket

‘সে দিন আমিও জার্সি খুলেছিলাম কিন্তু কেউ লক্ষ্যই করেনি’

ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করেছিল ৩২৫ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন সৌরভ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়া দিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৩৪
Share:

ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে যুবির ব্যাট কথা বলেছিল। জয়ের আনন্দে সৌরভের সেই উদযাপন। —ফাইল চিত্র।

ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল জিতে জার্সি উড়িয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সে দিন শুধু সৌরভ একা নন, জার্সি খুলে ফেলেছিলেন যুবরাজ সিংহও। কিন্তু পঞ্জাবতনয় থেকে যান সবার অলক্ষ্যেই।

Advertisement

তিনি যে জার্সি খুলে ফেলেছিলেন, তা লক্ষ্যই করেননি কেউ। ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে যুবি বলেন, ‘‘আমিও সে দিন জার্সি খুলে ফেলেছিলাম। কিন্তু সেই শার্টের নীচে আরও একটা সাদা টি শার্ট পরেছিলাম। কারণ তখন ইংল্যান্ডে খুব ঠান্ডা ছিল। আমি যে জার্সি খুলে পেলেছিলাম, তা দেখতে পায়নি কেউই।’’ যুবরাজকে কেউ লক্ষ্য না করায়, তাঁকে নিয়ে বেশি চর্চাও হয়নি।

ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করেছিল ৩২৫ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন সৌরভ ও বীরু। ষষ্ঠ উইকেটে যুবরাজ ও মহম্মদ কাইফ ১২১ রান জোড়েন। ৬৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন পঞ্জাবতনয়। তিনি বলেন, ‘‘ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির আগে আমরা ৯-১০টা ফাইনাল হেরে গিয়েছিলাম। সে বার অনেকেই আমরা দলে নতুন ছিলাম। দাদার কাছ থেকে প্রচুর সাহায্যও পেয়েছিলাম। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৩২৫ রান করায় আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। এই রান তাড়া করা ছিল খুবই কঠিন। আমার বেশ মনে আছে, সচিন আউট হতেই ইংল্যাল্ডের ক্রিকেটাররা উৎসব পালন করতে শুরু করে দিয়েছিল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘তোমাকে নেটে পেলেই আউট করব’, বিরাটকে ওপেন চ্যালেঞ্জ সাকলিনের

ম্যাচ হারছে ধরে নিয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারতের অধিকাংশ সমর্থক। স্মৃতির পাতা উল্টে যুবি বলছেন, ‘‘কাইফ ক্রিজে আসতেই ওকে বলি, চল শুরু করি। দু’উইকেটের মধ্যে আমরা বেশ ভালই দৌড়চ্ছিলাম। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ ভাল ছিল। কারণ আমরা অনূর্ধ্ব ১৯ পর্বে একসঙ্গে খেলেছি। দু’জনেই বেশ ভাল খেলছিলাম। আমি অবশ্য একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলাম।’’

আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানে ইমরানের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় ছিল বালাজি’

যুবরাজ ফেরার পরে কাইফ এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভারতকে। যুবি বলেন, ‘‘আমি আউট হওয়ার পরে কাইফ হাল ধরে। জীবনের সেরা ইনিংস খেলেছিল কাইফ। আমারও ইনিংসটাও কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছিল। সেই সময়ে আমি যদি একটু বুদ্ধির পরিচয় দিতাম, তা হলে হয়তো সেঞ্চুরিও করতে পারতাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement